কোহলির সেঞ্চুরি ম্লান করে বিশ্বসেরা ওপেনারের তকমা পেলেন বাটলার
মোহাম্মদ সিরাজের করা ১৯তম ওভারের শেষ বলটিকে উড়িয়ে বাউন্ডারি ছাড়া করতে না পেরে নিজের প্রতি ক্ষুব্ধ দেখা গেল জস বাটলারকে। সেটি ছয় হলে ৯৯ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়তে হতো রাজস্থান রয়্যালসের ওপেনারকে। সেই বল থেকে এক রান পাওয়ায় রাজস্থানের জয়ের জন্য লাগত আর ১ রান। তবে ২০তম ওভারের প্রথম বলে ক্যামেরুন গ্রিনকে ছক্কায় উড়িয়ে দলের জয়ের পাশাপাশি নিজের সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন বাটলার।
রয়্যালস চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে ৬ উইকেটে হারিয়ে আইপিএল পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে রাজস্থান। অথচ এবারের আইপিএলের শুরুটা ভালো হয়নি বাটলারের। প্রথম ৩ ম্যাচে যোগ্যতার ছাপ রাখতে না পারায় সমর্থকদের কটু কথা সাইতে হচ্ছিল ইংলিশ ওপেনারকে। বাটলার যে স্বরূপে ফিরবেন সেই আস্থা ছিল রাজস্থানের।
গতকাল এই সেঞ্চুরির পর দলটির ডিরেক্টর অব ক্রিকেট কুমার সাঙ্গাকারা বলেন, ‘সাদা বলে বিশ্ব ক্রিকেটের সেরা ওপেনার জস এবং অনেক বছর ধরেই আছে। সে স্মার্ট, খুব ভালো করে জানে কীভাবে নিজের কাজ করতে হয়। আর কখনও কখনও আশপাশের আলোচনা এড়িয়ে তাকে নিজের মতো থাকতে দিতে হয়। জসের ক্ষেত্রে সবকিছুরই ভালো সমন্বয় ছিল আমাদের।
‘ যদিও ইংল্যান্ডের হয়ে কখনও চার নম্বরের ওপরে খেলেননি বাটলার। তবে টি-টোয়েন্টিতে ইনিংস শুরু করেন তিনি নিয়মিত। জয়পুরে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে শতরান যোগ করে বেঙ্গালুরুর দুই ওপেনার বিরাট কোহলি ও ফাফ ডু প্লেসি। ৮৪ বলে ১২৫ রানের জুটি গড়েন তারা। অর্ধশতক হাঁকানোর আগেই আউট হন ডু প্লেসি।
আইপিএল তুলনায় কোহলির মন্থর সেঞ্চুরিকে ম্লান করে দেন বাটলার। যদিও রান তাড়ায় খালি হাতে ফেরেন রাজস্থানের আরেক ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল। ৩০ বলে অর্ধশতক পূর্ণ করেন বাটলার। রাজস্থানের অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন অর্ধশতক পূর্ণ করতে খরচ করেন ৩৩ বল। স্যামসন থামেন ৬৯ রান করে। ৪২ বলের ইনিংসে তিনি হাঁকান ৮টি চার ও ২টি ছক্কা। তারপর ক্রিজে আসেন রিয়ান পরাগ। ৪ বলে ৪ রান করে বিদায় নেন তিনি। ধ্রুব জুরেলও ৩ বলে ২ রান করে ফিরে যান। তবে শিমরন হেটমায়ার ৬ বলে ১১ রান করে বাটলারকে সঙ্গ দেন। অন্যদিকে বাটলার তুলে নেন আইপিএলে নিজের সপ্তম সেঞ্চুরি। ৫৮ বলে করেন ১০০ রান।