লাখ টাকার গরুর পেটে কোটি টাকার রোলেক্স ঘড়ি!
বিশ্বের সবচেয়ে দামি ঘড়ির ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে রোলেক্স । প্রায় কোটি টাকা মূল্যের সেই ব্র্যান্ডেরই একটি ঘড়ি খেয়ে ফেলেছে লাখ টাকার গরু। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি যে অর্ধশত বছর পর গরু খেয়ে ফেলেছে ভাবা সেই কোটি টাকা মুল্যের রোলেক্স ঘড়িটি ফেরত পাওয়া গিয়েছে। ঘড়িটির মালিক বলছেন, হয়তো চেন ভেঙে পড়ে থাকা ঘড়িটি ঘাসের সঙ্গেই খেয়ে ফেলেছিল গরু।
সেই সত্তরের দশকের প্রথম দিকে ঘড়িটি হারিয়েছিলেন ব্রিটিশ কৃষক জেমস স্টিল। ভেবেছিলেন এর চেইন ভেঙে যাওয়ার পর সেটি হয়তো ঘাসের সঙ্গে ‘গিলে ফেলেছে গরু’। তবে হারিয়ে যাওয়া ওই ঘড়ি যে ৫০ বছর পর ফেরত পাবেন, তা কখনো কল্পনাও করতে পারেননি জেমস ।
ব্রিটেনের শ্রপশায়ারের ওসওয়েস্ট্রির মরডা গ্রামের বাসিন্দা জেমস স্টিল। বয়স এখন ৯৫। ঘড়িটি হারিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ আগে তিনি টের পেয়েছিলেন, এর চেইন ভেঙে গেছে। বিবিসিকে তিনি বলেন, আমার মনে হয়েছিল, গরুটি মুখভর্তি ঘাসের সঙ্গে ঘড়িটিও গিলে ফেলতে পারে।
জেমস ভেবেছিলেন, আর কোনোদিন ঘড়িটি খুঁজে পাবেন না তিনি। এই বাস্তবতা মেনেও নিয়েছিলেন জেমস। অথচ তার জমি থেকেই উদ্ধার করা হয়েছে ঘড়িটি। ধাতুর খোঁজে মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে জমিতে তল্লাশি চালানোর সময় ঘড়িটি খুঁজে পান এক ব্যক্তি। পরে সেটি জেমসকে ফিরিয়ে দেন। এত বছর পর ঘড়ি খুঁজে পাওয়ার ঘটনাকে অবিশ্বাস্য ও ‘সৌভাগ্য’ বলে বর্ণনা করেছেন জেমস।
তিনি বলেন, এটা দারুণ, বিশেষ করে এই সময়ে। ঘড়িটি খুঁজে পেলেও এখন আর তা সচল নয়। এর রংও কিছুটা সবুজ আকার নিয়েছে। তবে মরিচা ধরেনি বলে নিশ্চিত করেন এই কৃষক। যিনি ঘড়িটি খুঁজে পেয়ে ফেরত দিয়েছেন, তার প্রশংসাও করেন জেমস।
বিলাসবহুল হাতঘড়ির জগতে অন্যতম রোলেক্স। ১৯০৫ সালে যাত্রা শুরু করে কোম্পানিটি। তারাই বিশ্বে প্রথম ওয়াটারপ্রুফ বা পানিরোধী ঘড়ি প্রস্তুত করে। রোলেক্সের দামি ঘড়িগুলো সব কোটি টাকার ওপরে। আর সবচেয়ে কম দামি ঘড়িটির দামও বাংলাদেশি মুদ্রায় দুই লাখ টাকার ওপরে।