কে এই রাজু আহমেদ,সাংবাদিকের সাথে কেন করলেন এমন আচরণ?
সাদাকালো নিউজ ডেস্ক
চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক স্কুল ও ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রাজু আহমেদ। জেলা ছাত্রলীগের প্রস্তাবিত কমিটির অন্যতম সদস্যও তিনি। চুয়াডাঙ্গাতে এক সাংবাদিকের সঙ্গে ঘটা ঘটনার জেরে পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন এই ছাত্রনেতা।
জানা যায়, ১৬ই আগস্ট রাত পৌনে নয়টার দিকে চুয়াডাঙ্গা শহরের ইমার্জেন্সি রোড এলাকায় স্থানীয় সাংবাদিক সোহেল রানা ডালিমকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে।
এতে সামনের গাড়িতে থাকা ছাত্রলীগ কর্মীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ডালিমের মোটরসাইকেলের চাবি কেড়ে নেয়। এসময় শুরু হয় কথাকাটাকাটি। এতেই ক্ষুর দিয়ে তার পিঠে পোঁচ দেয় ছাত্রলীগকর্মীরা। গুরুতর আহত ডালিমকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। এসময় হাসপাতালের জরুরী বিভাগে চিকিৎসা নেয়ার সময় আবারও তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয়। তখন হাসপাতাল চত্বরে ডালিমকে তাড়া করতেও দেখা যায়। পরে পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
শহরের ইমার্জেন্সি রোড দিয়ে নিজ মোটরসাইকেল নিয়ে পত্রিকা অফিসের দিকে যাচ্ছিলেন সাংবাদিক ডালিম। এসময় তার মোটর সাইকেলের সঙ্গে সামনের একটি মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগে। সামনের গাড়িতে থাকা ব্যক্তিদের সঙ্গে তার কথাকাটাকাটি হয়। ডালিমের অভিযোগ, সেখানেই তাকে আহত করা হয়। এরপরে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে পৌঁছালে সেখানেও তাকে উপর্যুপরি কুপিয়ে জখম করে দুর্বৃত্তরা।
কয়েকটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের খবরে জানা যায়, গুরুতর আহত ডালিমের অন্তত ২০০টি সেলাই লেগেছে। আহত সোহেল রানা ডালিম শহরের সিএন্ডবি পাড়ার আব্দুল করিমের ছেলে। তিনি স্থানীয় দৈনিক সময়ের সমীকরণের নিজস্ব প্রতিবেদক ও জাতীয় দৈনিক আমাদের নতুন সময়ে জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত আছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এই ঘটনায় আটক রাজু আহমেদ চুয়াডাঙ্গা পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটটে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে ডিপ্লোমা করেছেন। চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজেও পড়েছেন তিনি।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান জানান, সাংবাদিকের ঘটনায় রাজু আহমেদকে আটক করা হয়েছে। হামলায় জড়িতদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।