কে এই বিএনপি নেত্রী ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা
সাদাকালো নিউজ
যুক্তি-তর্ক আর তথ্যনির্ভর জ্বালাময়ী বক্তব্য দিয়ে রাজনীতির অঙ্গনে নিজের জায়গাটি পাকাপোক্ত করেছেন — বর্তমান সময়ের এমন একজন মানুষের নাম জানতে চাইলে, সবার আগে ভেসে উঠবে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার চেহারাটি। যিনি খুব অল্প সময়ে রাজনীতির মাঠে নিজেকে দক্ষতার সাথে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
রাজনৈতিক পরিবারে রুমিন ফারহানার বেড়ে ওঠা হলেও রাজনীতিতে তাঁর পথচলা খুব বেশি দিনের নয়। ২০১২ সালে বিএনপির রাজনীতির মাধ্যমে শুরু। এরপর তাকে আর পেছনে ফিরতে হয়নি। দলের সর্বকনিষ্ঠ নেতা হয়েও সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদকদের পদটি এখন তাঁর দখলে।
রুমিন ফারহানার বাবা অলি আহাদ। ভাষা আন্দোলনের অন্যতম নায়ক ছিলেন। ছিলেন ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকও। রাজনীতি করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গেও। আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন অলি আহাদ।
বাবাকে দেখে রাজনীতিতে আসার অনুপ্রেরণা পান রুমিন ফারহানা। কিন্তু বাবাকে দেখে উজ্জীবিত হয়ে রাজনীতিতে পা রাখলেও, তাঁর দোখানো পথে হাঁটেননি রুমিন। তিনি বেছে নিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল — বিএনপি’র রাজনৈতিক আদর্শ।
ছোটবেলা থেকেই রুমিন স্বপ্ন দেখতেন, বড় হয়ে রাজনীতিবিদ হবেন। পেশা হবে স্বাধীন। তাইতো, বিজ্ঞানের ছাত্রী হয়েও পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন আইন বিষয়।
রুমিন ফারহানা বিবিসি বাংলাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, অনেকটা শূন্য হাতেই রাজনীতিতে এসছেন তিনি। কিন্তু অল্প সময়ে বিএনপি তাকে অনেক দিয়েছে। বাকিটা পথ তাই বিএনপির সাথেই থাকার প্রত্যয় এই নারী নেত্রীর।
রুমিন এও বলেন, দেশপ্রেমে উধ্বুদ্ধ মেধাবী তরুণ সমাজকে রাজনীতিতে সম্পৃক্ত করতে চান তিনি। রাজনীতির গুনগত মান পরিবর্তনের ব্রত নিয়ে এগিয়ে যেতে চান তিনি।
রুমিন ফারহানার মতে, ছোটবেলায় অত্যন্ত লাজুক প্রকৃতির ছিলেন তিনি। বই পড়ে আর গাছ-পালার সঙ্গেই বেশিরভাগ সময় কেটেছে তাঁর। টেলিভিশন কিংবা মঞ্চে জ্বালাময়ী বক্তব্য দেবেন এমনটা ভাবেননি কখনো।
রুমিন ফারহানা সবশেষ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিজ নির্বাচনী আসন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ থেকে বিএনপির মননোয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। সে সময় দল থেকে মননোয়ন না পেলেও, পরবর্তীতে তাকে সংরক্ষিত নারী আসনের জন্য মনোনীত করা হয়। প্রায় চার বছর সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন শেষে দলীয় সিদ্ধান্তে সম্প্রতি সংসদ থেকে পদ ছাড়েন তিনি।