কে এই ডিবি কর্মকর্তা গোলাম সাকলায়েন শিথিল?
রাকিব হাসান:
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার গোলাম সাকলায়েন শিথিল। বোট ক্লাবের ঘটনায় গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগ পরীমণিকে গোয়েন্দা কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। সেখান থেকেই গোলাম সাকলায়েন শিথিলের সঙ্গে পরিচয় পরীমণির। এরপর সেই সম্পর্ক গড়িয়েছে অনেক দূর।
তদন্ত করতে গিয়ে চিত্রনায়িকা পরীমণির সঙ্গে জড়িয়েছেন প্রেমের সম্পর্কে। এরপর নিয়মিত পরীমণির বাসায় যাতায়াত শুরু করেন এই পুলিশ কর্মকর্তা। মাঝে মাঝে গাড়ি নিয়ে বের হতেন দু’জনে। নিজেকে পড়ীমনির কাছে অবিবাহিত পরিচয় দেন। তবে তিনি বিবাহিত। আছে একটি কন্যা সন্তানও।
জিজ্ঞাসাবাদে পরীমনি জানিয়েছেন, সাকলায়েনের সরকারি বাসায় প্রায় ১৮ ঘণ্টা কাটিয়েছেন তিনি। নিয়মিত কথা বলতে বলতে গোলাম সাকলায়েন শিথিলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয় তার। এরপর তারা নিয়মিত গাড়ি নিয়ে ঘুরতে যেতেন। এমনকি সাকলায়েন তার বাসায় নিয়মিত যাতায়াত করতেন। সর্বশেষ গত ১ আগস্ট তার সরকারি বাসভবন রাজারবাগের মধুমতির ফ্ল্যাটে যান পরীমণি।
পরীমণির সহযোগী দীপু জিজ্ঞাসাবাদে জানান, গত কোরবানির ঈদের পর তিনি পরীমণির বাসায় গিয়ে জানতে পারেন গোলাম সাকলায়েন এসে সেখানে তিন দিন ছিলেন। তিনি গোলাম সাকলায়েনের সঙ্গে পরীমণির প্রেমের সম্পর্কের কথা জানতেন। পরীমণিই তাকে এই বিষয়টি জানিয়েছেন।
গোলাম সাকলায়েন নিজেকে অবিবাহিত বলে দাবি করেন। কিন্তু পরে সাকলায়েন বিবাহিত জানতে পারলে পরীমণি ক্ষুব্ধ হন। এ সময় সাকলায়েন তার ডিভোর্স হয়ে গেছে বলে দাবি করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সাকলায়েন বিবাহিত। তার স্ত্রী প্রশাসন ক্যাডারের একজন কর্মকর্তা। ঢাকার পার্শ্ববর্তী একটি জেলায় তিনি নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তাদের একটি কন্যাসন্তানও আছে।
গোলাম সাকলায়েনের সরকারি বাসভবন মধুমতির সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, ১ আগস্ট সকাল ৮টার দিকে পরীমণির নিজের হ্যারিয়ার গাড়ি নিয়ে গোলাম সাকলায়েনের ফ্লাটে যান। এ সময় ১০তলা থেকে নেমে এসে খোদ গোলাম সাকলায়েন পরীমণিকে রিসিভ করে বাসায় নিয়ে যান। পরীমনির খালাতো বোন শায়লা ও তার স্বামী গোলাম রাতে সাকলায়েনের ওই বাসায় যান। পরে রাত ২টার দিকে পরীমনি ও তার স্বজনরা গোলাম সাকলায়েনের বাসা থেকে বের হয়ে যান।
পরীমণিকে গ্রেপ্তারের পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদে গোয়েন্দা কর্মকর্তা গোলাম সাকলায়েনের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্কটি ফাঁস হয়। পরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিষয়টি জানতে পেরে দ্রুত রাজারবাগের মধুমতির বাসভবনের সিসিটিভি ফুটেজ পুলিশ সদর দপ্তরে নিয়ে আসেন। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পরীমণির বক্তব্যের সত্যতা পান ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা।