কে এই জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান ? তাকে কেন ধরেছে পুলিশ ?
সাদাকালো নিউজ
শফিকুর রহমান। জামায়াতে ইসলামীর আমির। শফিকুরের বাড়ি মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায়। সিলেট মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেছেন তিনি। ছাত্রজীবনে ছাত্রশিবিরের সিলেট শহর শাখার সভাপতি ছিলেন।
১৯৮৫ সালে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিস শুরার সদস্য হন শফিকুর। এরপর হন সিলেট জেলা শাখা জামায়াতের সেক্রেটারি। এরপর সিলেট জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির। ধীরে ধীরে সিলেট মহানগরীর একের পর পদ নিজের আয়ত্ত্বে নেন তিনি।
১৯৯৮ সাল থেকে দলটির কেন্দ্রীয় পর্যায়ের পদ পেতে শুরু করেন শফিকুর রহমান। ২০১১ সালে কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য হন। একি বছরের সেপ্টেম্বর মাস থেকে ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল হন।
২০১৭ থেকে দলটির সেক্রেটারি জেনারেলের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন শফিকুর রহমান। তিন বছর আগে জামায়াতের আমির হিসেবে শপথ নেন।
জামায়াতে ইসলামীর এই আমিরকে আটক করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ মঙ্গলবার ভোর চারটার দিকে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে পুলিশ তাকে ধরেছে বলে, দলটির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে।
জামায়াতের আমিরকে ধরার ব্যাপারে এখন পর্যন্ত পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। তবে তাকে মিন্টু রোডে পুলিশ কার্যালয়ে নেয়া হয়েছে বলে একটি সূত্র জানিয়েছে। কি অভিযোগ বা কোন মোকদ্দমায় তাকে ধরা হয়েছে সেটাও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
তবে বিশ্বস্ত একটি সূত্রের দাবি, উগ্রবাদী সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে তাকে ধরেছে পুলিশ। এমন অভিযোগে গেল নভেম্বর মাসে ধরা পড়ে শফিকুরের ছেলে রাফাত সাদিক সাইফুল্লাহ। ছেলের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতেই নাকি বাবাকে ধরেছে পুলিশ।
এর আগে ৮ নভেম্বর সিলেট থেকে ধরা হয় জামায়াতের আমিরের ছেলে রাফাত সাদিককে। তখন সিটিটিসি দাবি করে, রাফাত সাদিক আনসার আল ইসলামের সিলেট অঞ্চলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতা। তিনি দীর্ঘদিন ধরেই সেখানে জিহাদি দাওয়াতের কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলেন।
১০ নভেম্বর সিটিটিসি প্রধান আসাদুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, সাদিক কীভাবে উগ্রবাদে যুক্ত হলেন, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এমবিবিএস পাস করা সাদিক নতুন উগ্রবাদি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’র সিলেট অঞ্চলের প্রধান সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করছিলেন।
আসাদুজ্জামান আরও জানান, ১ নভেম্বর রাজধানীর সায়েদাবাদ এলাকা থেকে নতুন এই সংগঠনটির তিনজনকে ধরা হয়। তারা উগ্রবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে সিলেট থেকে ‘হিজরত’ করেছিলেন।
সম্প্রতি দেশে যতসংখ্যক যুবক কথিত এই হিজরত করেছেন, তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সিলেটের। দল বেঁধে তরুণ-যুবকদের এই ঘর ছাড়ার পেছনের মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন সাদিক।