কেমন ছিল দিতি-সোহেল চৌধুরীর সংসার জীবন!
সাদাকালো নিউজ
১৯৮৪ সালে ‘নতুন মুখের সন্ধানের’ মাধ্যমে ঢাকাই চলচ্চিত্রে পা রাখেন সোহেল চৌধুরী ও পারভীন সুলতানা দিতি। একসঙ্গে প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ ও বিজয়ী হওয়ার ফলে দুজনের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে উঠে। ১৯৮৫ সালে ‘হীরামতি’ ছবিতে একসঙ্গে অভিনয় করেন তাঁরা। এরপরই শুরু হয় তাদের প্রেমপর্ব।
দিতির বিয়ের তখন মাত্র দিন দশেক বাকি। এরই মধ্যে ঢাকায় ফিরে পালিয়ে সোহেল চৌধুরীর বনানীর বাড়িতে গেলেন তাঁরা। কাজী ডেকে বিয়ে করেন।
সিনেমায় সোহেল-দিতির পর্দা রোমান্স ও বাস্তব জীবনে তাদের বিয়ে দর্শককে এ জুটির প্রতি বেশ আগ্রহী করে। তাদের অভিনয়ও প্রশংসিত হয়। ‘হীরামতি’র পর এ জুটির পর পর কয়েকটি ছবি মুক্তি পায়। সুদর্শন সোহেল চৌধুরী মূলত রোমান্টিক নায়ক হিসেবে খ্যাতি পান। আশির দশকের শেষে তার পোশাকের স্টাইল ও গ্ল্যামার সে সময়ের দর্শককে আকৃষ্ট করত।
১৯৮৭ সালে জন্ম হয় দিতি-সোহেল দম্পতির প্রথম সন্তান লামিয়া চৌধুরীর। ১৯৮৯ সালে এ দম্পতির ছেলে দীপ্ত চৌধুরীর জন্ম হয়। দিতির ক্যারিয়ার তরতর করে এগিয়ে গেলেও সোহেল চৌধুরীর ক্যারিয়ার খুব একটা সফল হয়নি। তিনি সুদর্শন ছিলেন তবে একই সঙ্গে ছিলেন খামখেয়ালি প্রকৃতির।
নব্বই দশকের মাঝামাঝি সময়ে দিতি ও সোহেল চৌধুরীর বিচ্ছেদ ঘটে। এরপর সোহেল চৌধুরী কয়েকটি ছবিতে পার্শ্ব-চরিত্রে অভিনয় করেন। কয়েকটি ছবিতে তিনি ছিলেন দ্বিতীয় নায়ক। তিনি চলচ্চিত্র প্রযোজনাও করেন।