কুলসুম ও তাঁর স্বামী নাগরিকত্ব পাবেন, তবে…
রাকিবুল ইসলাম
পরিবার হারিয়ে দীর্ঘদিন সুইজারল্যান্ড থেকে বাংলাদেশে ফিরে স্বজনদের প্রতি এক গভীর ভালবাসা তৈরী হয়েছে কুলসুম ও তাঁর স্বামী আন্দ্রে ম্যারিওর। ভালোবাসার টানে পরছেন দেশীয় পোশাক, শিখছেন বাংলা ভাষা। এরই ধারাবাহিকতায় এবার কুলসুম বলছেন, বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পেতে চান তিনি। শুধু কুলসুম একাই নয়, বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ও পাসপোর্ট পেতে চান তাঁর স্বামী আন্দ্রে ম্যারিও-ও।
সম্প্রতি দেশে ফিরে নিজের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাতের পর দ্বৈত নাগরিকত্ব পাওয়ার আশা প্রকাশ করেন কুলসুম আর তাঁর স্বামী। জানা গেছে, একজন ব্যক্তির একই সঙ্গে দুটি দেশের নাগরিকত্ব নেওয়াকে দ্বৈত নাগরিকত্ব বলা হয়। বাংলাদেশসহ পৃথিবীর অনেক দেশেই দ্বৈত নাগরিকত্বের বিধান রয়েছে। দ্বৈত নাগরিত্বের জন্য নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম মেনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগের নিরাপত্তা ও বহিরাগমন অনুবিভাগে আবেদন করতে হয়।
এরপর মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নাগরিকত্ব আইন, বিধি ও পরিপত্র অনুসরণে গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনের ভিত্তিতে যাচাই-বাছাই শেষে দ্বৈত নাগরিত্বের সনদপত্র ইস্যু কিংবা তার আবেদন বাতিল করা হয়। তবে বাংলাদেশের দ্বৈত নাগরিকত্বের বিধান অনুযায়ী সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ব্যক্তি এবং মিয়ানমারসহ কয়েকটি দেশের নাগরিকরা দ্বৈত নাগরিকত্ব পাবেন না। তাছাড়া সার্কভুক্ত দেশের নাগরিকদেরও দ্বৈত নাগরিকত্ব না দেওয়ার বিষয়ে প্রস্তাবনা রয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
দেশের প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী, দ্বৈত নাগরিত্বের সনদ পাওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের নিরাপত্তা ও বহিরাগমন অনুবিভাগে ইংরেজিতে লেখা নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হয়। বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে পররাষ্ট মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আবেদন করা যাবে।
আবেদনপত্রের বাম পাশে (অ্যাটেস্টেশন) প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা কিংবা নোটারি পাবলিক কর্তৃক স্বাক্ষরিত হতে হবে। এসব কাগজপত্র দুই সেট করে জমা দিতে হবে। এরপর নাগরিকত্ব আইন, বিধি ও পরিপত্র অনুসরণে গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনের ভিত্তিতে দ্বৈত নাগরিত্বের সনদপত্র ইস্যু কিংবা তার আবেদন বাতিল করা হয়ে থাকে। এজন্য কমপক্ষে ৬০ কার্যদিবস সময় নিয়ে থাকে মন্ত্রণালয়।