কুলসুম আর তাঁর স্বামী বাংলাদেশের নাগরিকত্ব চান
সাদাকালো নিউজ
পরিবার-পরিজন ছাড়াই পার করেছেন জীবনের ৪৫টি বছর। এই সময়ে আবছা স্মৃতিতে খুঁজে বেড়িয়েছেন হারিয়ে যাওয়া আপনজনদের। ক্লান্ত হয়ে কেঁদেছেন নিভৃতে। তবে হাল ছাড়েননি। ৪৫ বছর পর হলেও খুঁজে বের করেছেন পরিবারের সদস্যদের।
ভালোবাসার টানে পরছেন দেশীয় পোশাক, শিখছেন বাংলা ভাষা। এরই ধারাবাহিকতায় এবার কুলসুম বলছেন, বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পেতে চান তিনি। শুধু কুলসুম একাই নয়, বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ও পাসপোর্ট পেতে চান তাঁর স্বামী আন্দ্রে ম্যারিও-ও।
সম্প্রতি দেশে ফিরে নিজের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাতের পর এ কথা জানান কুলসুম আর তাঁর স্বামী। এমনকি সুযোগ হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও সাক্ষাৎ করার ইচ্ছে প্রকাশ করেন কুলসুম।
জানা গেছে, ১৯৭৭ সালে ৬ সন্তান নিয়ে টানাপড়েনের সংসার ছিল মাফিয়া বেগমের। এ অবস্থায় দুই মেয়ে কুলসুম ও সম্মেহেরকে নিয়ে বরিশাল থেকে ঢাকার মোহাম্মদপুরে দেবরের বাসায় আসেন তিনি। মেয়েরা ভালো থাকবে এ আশায় মোহাম্মদপুরের একটি অনাথ আশ্রমে তাদের দিয়ে দেন মাফিয়া বেগম। কিন্তু দুই দিন পরই আশ্রম থেকে পালিয়ে মায়ের কাছে চলে আসে বড় মেয়ে কুলসুম। সেদিনই আশ্রমের দায়িত্বে থাকা নারীরা ফেরত নিয়ে যান কুলসুমকে।
কুলসুমের বয়স এখন ৫০-এর কাছাকাছি। মায়ের ভাষা বাংলা বলা ভুলে গেছেন। সুইজারল্যান্ডের বাসিন্দা পেশায় শিক্ষক আন্দ্রে ম্যারিয়োকে বিয়ে করেছেন। কুলসুমও পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন শিক্ষকতাকে।