কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর রাজনীতিবিদ হয়ে ওঠার গল্প
সাদাকালো নিউজ ডেস্ক
প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো টানা তৃতীয়বারের মতো কানাডার ক্ষমতায়। রাজনৈতিক পরিবারেই জন্ম ট্রুডোর। বয়স পঞ্চাশ পেরোনোর আগেই কানাডার মতো একটি দেশে তিনবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হলেন তিনি।
অটোয়াতে জন্ম নেন ট্রুডো। তরুণ বয়স থেকেই সমর্থন করতেন লিবারেল পার্টি। বাবার মৃত্যুর পর রাজনীতিতে তিনি আরও বেশি সক্রিয় হন। তার বাবা পিয়ের ট্রুডোও ছিলেন কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী।
২০০৩ সালের লিবারের পার্টির লিডারশিপ কনভোকেশনে সহ-সঞ্চালনা করেন ট্রুডো। এর ৩ বছর পর নির্বাচনে হারে, লিবারেল পার্টি। জাস্টিন ট্রুডো পান যুব রিনিউয়াল এর দায়িত্ব।
২০০৭ সালে লিবারেল পার্টির মনোনয়ন পান জাস্টিন ট্রুডো। এজন্য তাকে পেছনে ফেলতে হয়েছে মন্ট্রিল সিটির কাউন্সিলর ম্যারি ডেরোস ও ব্যাসিলো জরডানোকে। অবশ্য খুব সহজেই এই দুইজনকে হারিয়েছিলেন তিনি।
এর এক বছর পরই লিবারেল পার্টির নেতৃত্ব আসে জাস্টিন ট্রুডোর হাতে। প্রতিদ্বন্দ্বীদের চেয়ে অনেক বেশি ভোটে লিবারেল পার্টির নেতা হন তিনি। তবে সে সময় ট্রুডো এই সুযোগ নেন নি। এই দায়িত্ব নেন ইগ্নাটিফ। তবে এই নেতার হাতে ৩ বছরে খুব একটা ভালো করেনি লিবারেল পার্টি।
২০১১ সালের নির্বাচনে খারাপ ফল করে লিবারেল পার্টি। পদত্যাগ করেন ইগ্নাটিফ। আর জাস্টিন ট্রুডো হয়ে ওঠেন লিবারেল পার্টির অবশ্যম্ভাবী নেতা।
ক্ষমতা পাওয়ার পরই নানামূখী উদ্যোগ নেয়ার ঘোষণা দেন তিনি। মধ্যবিত্তদের জন্য রাজস্বের হার কমান; বাড়ান ধনীদের আয়কর। স্বচ্ছ ও নীতিবান সরকার গঠনের ঘোষণাও দেন এই তরুণ নেতা।
এরপর ২০১৯ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে তিনি প্রধানমন্ত্রী হন। এই মেয়াদে বেশ কিছু বিষয়ে জনপ্রিয়তা সামান্য কমে ট্রূডোর। করোনা মহামারির মধ্যে সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করার লক্ষ্য ঠিক করেন এই নেতা। তাই, মেয়াদ শেষ হওয়ার প্রায় দুই বছর আগেই আগাম নির্বাচন দেন ট্রুডো।
এই নির্বাচনেও দেশ পরিচালনার দায়িত্ব ট্রুডোর হাতেই তুলে দিলেন কানাডার মানুষ। জাস্টিন ট্রুডোর লিবারেল পার্টি অল্প ব্যবধানে কানাডার নির্বাচনে জয়ী হয়েছে। তবে পায়নি পার্লামেন্টের সংখ্যাগরিষ্ঠতা।
২০০৫ সালের ২৮ শে মে সোফি গ্রেগরকে বিয়ে করেন জাস্টিন ট্রুডো। ছোটভাই মাইকেলের সহপাঠিনী ও বান্ধবী ছিলেন সোফি গ্রেগর। ট্রুডো দম্পতির তিন সন্তান।