কাটা হাত জোড়া লাগিয়ে প্রশংসায় ভাসছেন সেই চিকিৎসক
তানজিলা ফাহিম
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় পুলিশ সদস্য জনি খানের বিচ্ছিন্ন হওয়া হাতের কবজি জোড়া লাগানো হয়েছে। দীর্ঘ ১০ ঘণ্টা চেষ্টার পর এই কাজটি করতে সক্ষম হন ডা. সাজেদুর রেজা ফারুকী। এর পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রশংসায় ভাসছেন তিনি।
একজন নিভৃতচারী চিকিৎসক সাজেদুর রেজা ফারুকী। বর্তমানে জাতীয় অর্থোপেডিক ইনস্টিটিউটে হ্যান্ড অ্যান্ড মাইক্রোসার্জারি বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন।
কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার দেহুন্দা গ্রামের সন্তান ডা. সাজেদুর রেজা ফারুকী। ১৯৬৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর কুষ্টিয়ায় নানার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। আইডিয়াল স্কুল, নটরডেম কলেজ হয়ে তিনি এমবিবিএস করেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে।
সাজেদুর রেজা অর্থোপেডিকসে এমএস পাস করেন নিটোর থেকে। এর পর তিনি নিজস্ব অর্থায়নে ভারতের গঙ্গা ও বুম্বে হাসপাতাল এবং সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতাল থেকে উচ্চতর প্রশিক্ষণ নেন।
১৫ই মে আসামি ধরতে গিয়ে হাত হারান পুলিশ কনস্টেবল জনি খান। প্রথমে তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলেও পরে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। এরপর তাঁকে ভর্তি করানো হয় রাজধানীর আল মানার হাসপাতালে। সেখানেই ডা. সাজেদুর রেজা ফারুকীর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি দল জনির চিকিৎসা করেন।
এদিকে জটিল এ অস্ত্রোপচারের পর পুলিশ কনস্টেবল জনি খান এখন শঙ্কামুক্ত। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, রোগীর হাতের স্বাভাবিক রঙ চলে এসেছে। জোড়া লাগানো নার্ভগুলোর কার্যকারিতাও চলে আসতে শুরু করেছে। রক্ত চলাচল স্বাভাবিক হওয়ায় হাতে উষ্ণতাও এসেছে।