কতদিনের জন্য বিদেশে থাকতে পারবেন সম্রাট?
সাদাকালো নিউজ
ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট। ক্যাসিনো কাণ্ডে আলোচিত সাবেক যুবলীগ নেতা। ৩২ মাস হাজতে থাকার পর তিন শর্তে জামিনে মুক্তি পান তিনি। এবার তাকে এক মাসের জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি দুই মাসের জন্য তার পাসপোর্ট নিজ জিম্মায় দেয়া হয়েছে।
পহেলা জুন সম্রাটের আইনজীবীর আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক মঞ্জুরুল ইমাম এ আদেশ দেন। এদিন সম্রাটের বিরুদ্ধে দুদকের করা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। সম্রাট সকালে আদালতে হাজিরা দেন।
সম্রাটের পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী অভিযোগ গঠনের শুনানি পেছানোর জন্য আবেদন করেন। আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে ৬ জুলাই পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন। একি সঙ্গে সম্রাট বিদেশে গিয়ে চিকিৎসার আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
সম্রাটের আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী জানান, মোকদ্দমার গুরুত্বপূর্ণ কিছু ডকুমেন্ট সংগ্রহ করতে পারেননি তিনি। এজন্য সময়ের আবেদন করেন। আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করেন। এছাড়া সম্রাটের উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি চাইলে আদালত স্বল্প সময় অর্থাৎ দুই মাসের মধ্যে পাসপোর্ট নিয়ে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দেন। যে কোনো দেশে ভিসা পাওয়ার এক মাসের মধ্যে চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরার মৌখিক আদেশ দিয়েছেন আদালত।
২০১৯ সালের ১২ই নভেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম দুই কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সম্রাটের বিরুদ্ধে মোকদ্দমা দায়ের করেন। ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর মোকদ্দমাটি তদন্ত করে সম্রাটের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম।
২০১৯ সালের ১৮ই সেপ্টেম্বর ঢাকার মতিঝিলের ক্লাবপাড়ায় র্যাবের অভিযানে অবৈধ ক্যাসিনো চলার বিষয়টি প্রকাশ্যে এলে আত্মগোপনে চলে যান ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট। এরপর ৭ অক্টোবর কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে সম্রাট ও তার সহযোগী এনামুল হক আরমানকে ধরে র্যাব।
সেদিন বিকেলেই সম্রাটকে সাথে নিয়ে কাকরাইলের ভূইয়া ট্রেড সেন্টারে তার কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা অভিযান শেষে বেশ কিছু বেআইনি জিনিস পাওয়ার কথা জানায় র্যাব।
তবে ক্যাঙ্গারুর চামড়া পাওয়ার কারণে সম্রাটকে তাৎক্ষণিকভাবে বন্যপ্রাণী আইনে ছয় মাসের দণ্ড দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ ছাড়া ঢাকার রমনা থানায় সম্রাটের বিরুদ্ধে দুটি মোকদ্দমা দায়ের হয়। এরপর ১২ই নভেম্বর অবৈধ সম্পদের অভিযোগে সম্রাটের বিরুদ্ধে মোকদ্দমা দায়ের করে দুদক।