কঠিন সংকটে বস্ত্র খাত সহায়তা নিয়ে নয়ছয়
সব ধরনের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় কঠিন সংকটে রপ্তানিমুখী দেশীয় বস্ত্র খাত। এর মধ্যে নগদ সহায়তা প্রদানে নয়ছয় করায় সংকট আরও ঘনীভূত হয়েছে। সময়মতো অর্থছাড় না করা এবং পাওনা অর্থের তিনভাগের একভাগ ছাড় করায় অনেকে অর্থসংকটে হিমশিম খাচ্ছেন। বলা যায়, মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা।
ভুক্তভোগীদের অনেকে যুগান্তরকে জানিয়েছেন, এমনিতে দফায় দফায় গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি, তার ওপরে শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতনভাতা বাড়াতে হচ্ছে। কিন্তু পোশাকের ক্রেতারা কোনোভাবে দাম বাড়াতে রাজি নন। এ অবস্থায় পাওনা নগদ সহায়তার অর্থ দিয়ে কোনোমতে শিল্পপ্রতিষ্ঠান টিকিয়ে রাখছিলেন। কিন্তু সময়মতো প্রাপ্য এ সহায়তা না পাওয়ায় পরিস্থিতি সাধ্যের বাইরে চলে যাচ্ছে। তারা বলছেন, এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে ফ্যাক্টরি বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া কোনো পথ খোলা থাকবে না।
এদিকে সংকট নিরসনে তারা প্রধান উপদেষ্টাসহ উপদেষ্টা পরিষদের সংশ্লিষ্ট নীতিনির্ধারক মহলের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এ খাতের শিল্পোদ্যোক্তা বলেন, এমনিতে পোশাক খাত একধরনের দরজিগিরি ছাড়া আর কিছু নয়। কারণ, মেশিনারিজ, কাঁচামাল ও এক্সেসরিজের প্রায় সবকিছু বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। শুধু আন্তর্জাতিক পর্যায়ের তুলনায় এখানে কিছুটা সস্তা শ্রমের কারণে কোনোমতে এ ব্যবসা টিকে আছে। ফলে নগদ সহায়তাসহ সরকারের পক্ষ থেকে নানামুখী নীতিসহায়তা বাড়াতে হবে। বিশেষ করে আমদানি কমিয়ে এ খাতের সবকিছু স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করার জন্য সরকারি সহায়তা প্রয়োজন। ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজের সব আইটেম দেশের অভ্যন্তরে প্রস্তুত করতে সরকারকে নানামুখী সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করতে হবে। যেমনটি করছে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত। শিল্পোদ্যোক্তারা বলেন, নামমাত্র তুলা উন্নয়ন বোর্ড। কিন্তু বাস্তবে তুলা উৎপাদন বাড়াতে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেই। তাই তুলার উৎপাদন বাড়াতে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।
বস্ত্র খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অংশীজনদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা না করে হুটহাট আমলানির্ভর ও কল্পনাপ্রসূত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহের শর্তে গ্যাসের দাম অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি হয়েছে। ইডিএফ ফান্ডের পরিমাণ ৩০ মিলিয়ন থেকে কমিয়ে ২০ মিলিয়ন ডলার করা হয়েছে। অধিকাংশ ব্যাংক এই ২০ মিলিয়ন ডলারও দিতে চায় না। ব্যাংক সুদের হার বৃদ্ধি পেয়ে ১৫ শতাংশ ছুঁইছুঁই, যা আগের তুলনায় ৪৮-৬৬ শতাংশ বেশি। শ্রমিক মজুরি ৭০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ডলার সংকটের কারণে ওয়ার্কিং ক্যাপিটালের প্রায় ৪০ শতাংশ ঘাটতি এবং তুলা ও অন্য কাঁচামাল আমদানিতে এলসি খুলতে ব্যাংকগুলো অনীহা দেখাচ্ছে। এত প্রতিবন্ধকতার পরও শিল্পমালিকরা টিকে ছিলেন শুধু নগদ সহায়তার ওপর ভর করে। কিন্তু স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের ধুয়া তুলে নগদ সহায়তা কমানো হয়েছে। উপরন্তু নগদ সহায়তার টাকা পেতে ব্যাংকে মাসের পর মাস ধরনা দিতে হয়।
এ বিষয়ে নিট পণ্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিকেএমইএ) নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, পুরো বস্ত্র খাত কঠিন এক সময় পার করছে। অভ্যন্তরীণ ও বৈশ্বিক-দুই ধরনের চাপ আছে। বৈশ্বিক চাপ আমরা সামলাতে না পারলেও নীতিসহায়তা দেওয়ার মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ চাপ সামলানো সম্ভব। কিন্তু এর লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। যেমন : রপ্তানিকে উৎসাহিত করতে নগদ সহায়তা দেওয়া হতো। এবারের বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ বাড়ানো হয়নি। উলটা সহায়তার হার কমানো হয়েছে। তাও শিল্পমালিকরা নগদ সহায়তা সময়মতো পাচ্ছেন না। বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকার দাবি পড়ে আছে। তিনি আরও বলেন, প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকে থাকতে অনেক সময় গার্মেন্ট মালিকরা উৎপাদন খরচের চেয়েও কম দামে পণ্য এক্সপোর্ট করে থাকেন।
এটি করা হয় শুধু নগদ সহায়তার ভরসায়। কিন্তু যখন সহায়তা পেতেই বিলম্ব হয়, তখন আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে হয়। বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সদ্য নির্বাচিত সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল বলেন, বিগত সরকার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই সব সিদ্ধান্ত নিত। বিশেষত এলডিসি উত্তরণের কথা বলে প্রণোদনা কমানো হয়েছে। আবার গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে, তখনও বিন্দুমাত্র আলোচনা করা হয়নি। আশা করব, নতুন সরকার নীতি প্রণয়নের আগে ব্যবসায়ীদের মতামত নেবে। তা না হলে বাংলাদেশে শিল্প টিকে থাকতে পারবে না।
ভারত যেসব সুবিধা দিচ্ছে : ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ও বস্ত্রকল মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, টেক্সটাইল শিল্পের প্রধান কাঁচামাল তুলা উৎপাদন ও নিজস্ব প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি থাকা সত্ত্বেও ভারত রাজ্যভেদে এই শিল্পবিকাশে নানা ধরনের প্রণোদনা দিচ্ছে। যেমন : তামিললাড়ু ও মহারাষ্ট্রে নতুন শিল্প স্থাপনে প্রকল্প খরচের সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ এবং শিল্প সম্প্রসারণে ১৫ শতাংশ মূলধন সহায়তা দেওয়া হয়। আর গুজরাটে ৩০, অন্ধ্রপ্রদেশে গ্রিন কারখানা স্থাপনে ৫০ এবং বিহারে প্রকল্পের সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ অর্থ অনুদান হিসাবে দেওয়া হয়। এ তো গেল শিল্প স্থাপনের নগদ সহায়তা বা ভর্তুকি, এর বাইরেও জ্বালানি খরচ ও ঋণ সুদহারে বিশেষ সুবিধা পান ভারতের শিল্পোদ্যোক্তারা। যেমন : গুজরাটে শিল্প স্থাপন করলে ১০ বছরের জন্য ব্যাংক ঋণের সুদ ৭ শতাংশ, অন্ধ্রপ্রদেশে ৭ বছরের জন্য ১২ দশমিক ৫, টেক্সটাইল ও গিনিং শিল্পে ৭ দশমিক ৫ এবং বিহারে সুদের ১০ শতাংশ অর্থ সহায়তা হিসাবে দেওয়া হয়। গুজরাটে টেক্সটাইল পার্কে বিনিয়োগ করলে ২৫ শতাংশ বিশেষ সহায়তা দেওয়া হয়।
একইভাবে গুজরাটে বিদ্যুতে ইউনিটপ্রতি ২ রুপি, অন্ধ্রপ্রদেশে ১-২ রুপি এবং বিহারে ২ রুপি অনুদান হিসাবে দেওয়া হয়। জমি অধিগ্রহণে অন্ধ্রপ্রদেশে মোট প্রকল্পের ৫ শতাংশ বা জমির মূল্যের ৫০ শতাংশ অর্থ, মহারাষ্ট্রে স্ট্যাম্প ডিউটি মওকুফ, তামিলনাড়ুতে জমির দামে ৫০ শতাংশ প্রণোদনা হিসাবে দেওয়া হয়। জ্বালানি ছাড়াও ভারতে কর সুবিধা দেওয়া হয়। যেমন : তামিলনাড়ুতে ৫ বছরের জন্য কর অবকাশ সুবিধা, মহারাষ্ট্রে স্ট্যাম্প ডিউটি ও সেলস ট্যাক্স মওকুফ এবং বিহারে শতভাগ সেলস ট্যাক্স ফেরত দেওয়া হয়। বিহারে ফ্রেইট খরচে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ অনুদান রয়েছে। তামিলনাড়ু ও মহারাষ্ট্রে দক্ষতা উন্নয়ন অনুদান-ভর্তুকি আছে। বিহারে দক্ষতা উন্নয়নে শ্রমিকপ্রতি বছরে ২০ হাজার রুপি অনুদান এবং শ্রমিক অনুদান হিসাবে ৫ হাজার টাকা করে ৫ বছর দেওয়া হয়।
ভারতের নীতিসহায়তা বিশ্লেষণ করে আরও দেখা গেছে, ভারতে কোনো টেক্সটাইল মিল ৫ কোটি ডলার রপ্তানি করলে শুধু সহায়তা (রোডট্যাপ, ডিউটি ড্র ব্যাক, ফ্রেইট গ্রান্ট) হিসাবে ৩২ লাখ ডলার সাবসিডি পায় এবং বিদ্যুতে প্রণোদনা পাওয়া যায় ৯০ লাখ রুপি।
নগদ সহায়তা বরাদ্দেও অবহেলা : অভ্যন্তরীণ ও বৈশ্বিক মোকাবিলা করে রপ্তানির প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে বাংলাদেশের শিল্পোদ্যোক্তারা প্রাণপণ প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। বাজেটের আকার বড় হলেও চলতি অর্থবছরে নগদ সহায়তা খাতে বরাদ্দ বাড়ানো হয়নি। চলতি অর্থবছরের (২০২৪-২৫) বাজেটে রপ্তানি প্রণোদনা বাবদ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৯ হাজার ২৫ কোটি টাকা। এর আগে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে বরাদ্দ রাখা হয় ৯ হাজার ২৫ কোটি টাকা। যদিও অর্থবছরের শুরুতে মূল বাজেট একই বরাদ্দ ছিল। এছাড়া ২০২২-২৩ অর্থবছরেও রপ্তানি প্রণোদনা খাতে বরাদ্দ ছিল ৯ হাজার ২৫ কোটি টাকা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্রকৃত ব্যয় হয়েছে ৮ হাজার ৬৮৯ কোটি টাকা। আর ২০২১-২২ অর্থবছরে এ খাতে প্রকৃত ব্যয় ৯ হাজার ৯ কোটি টাকা। কিন্তু বরাদ্দ ছিল ৭ হাজার ৬২৫ কোটি টাকা। এছাড়া ২০২০-২১ অর্থবছরে রপ্তানি প্রণোদনায় ব্যয় হয় ৪ হাজার ৮৪৭ কোটি টাকা।
উপরন্তু চলতি বছরের পহেলা জুলাই প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ৩৮ খাতে নগদ সহায়তার পরিমাণ কমানো হয়। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় বস্ত্র খাত। উদাহরণস্বরূপ, আগে যে প্রতিষ্ঠান দেশি সুতা ব্যবহার করে উৎপাদিত তৈরি পোশাক নতুন বাজারে রপ্তানি করলে সর্বোচ্চ ৯ দশমিক ১ শতাংশ নগদ সহায়তা পেত, নতুন নিয়মে সেটি কমে ৫ দশমিক ৯ শতাংশে দাঁড়াবে। নগদ সহায়তা কমানোর যৌক্তিকতায় বলা হয়, ২০২৬ সালে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বেরিয়ে উন্নয়নশীল দেশ হবে। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) বিধিবিধান অনুসারে এলডিসি থেকে উত্তরণের পর কোনো ধরনের রপ্তানি প্রণোদনা বা নগদ সহায়তা দেওয়া যায় না। এলডিসি থেকে উত্তরণের পর একবারে সহায়তা প্রত্যাহার করা হলে রপ্তানি খাত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। তাই অল্প অল্প করে সহায়তা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
শিল্পমালিকরা বলছেন, এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের কথা বলে নগদ সহায়তা কমানো হয়েছে। কিন্তু এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের এখনো প্রায় আড়াই বছর বাকি। এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন হলেও গ্রস পিরিয়ড হিসাবে ২০২৯ সাল পর্যন্ত শিল্প খাত নগদ প্রণোদনা পেতে পারে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত বিশ্বের ৫ম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ। তাছাড়া ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তুলা উৎপাদনকারী দেশ এবং টেক্সটাইল টেকনোলজিতেও বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে। ২০০৪ সালে এলডিসি গ্র্যাজুয়েটেড হওয়া সত্ত্বেও টেক্সটাইল শিল্পকে নানাভাবে নগদ প্রণোদনার বিকল্প সুবিধা দিয়ে আসছে। সুতরাং এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের নামে বাংলাদেশের টেক্সটাইল শিল্পের প্রণোদনা কমিয়ে শিল্পকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত অর্থবছরে ৬ হাজার কোটি টাকা দাবির বিপরীতে ২ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে সরকার। নতুন অর্থবছরে এখনো কোনো কার্যক্রম শুরু হয়নি। তবে এখন পর্যন্ত যে আবেদন জমা হয়েছে, তাতে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা লাগতে পারে।
নগদ প্রণোদনা ছাড় করে বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং ডিপার্টমেন্ট। এ বিভাগে পরিচালকের দায়িত্বে আছেন আবুল বসার। তিনি সোমবার যুগান্তরকে বলেন, নগদ প্রণোদনার অর্থ বাজেট থেকে দেয় সরকার। তবে সব সময় চাহিদার তুলনায় কম অর্থ রিলিজ করে। গত অর্থবছরে ৬ হাজার কোটি টাকা দাবির বিপরীতে ২ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে। নতুন অর্থবছরে এখনো কোনো কার্যক্রম শুরু হয়নি। তিনি বলেন, সরকার যে টাকা দেয়, তা বাংলাদেশ ব্যাংকের সফটওয়্যারের মাধ্যমে আসে। এখানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কিছুই করার থাকে না।
রপ্তানিকারকদের আবেদনের ভিত্তিতে একটা চাহিদাপত্র পাঠানো হয়। যখন যে টাকা আসে, তখন সে টাকা বিতরণ করে দেওয়া হয়। কখনো চাহিদাপত্র অনুযায়ী শতভাগ টাকা আসেনি এবং বিলম্বের জন্যও বাংলাদেশ ব্যাংক নয়, সরকারই দায়ী। নতুন অর্থবছরে এখন পর্যন্ত যে আবেদন পড়ছে বা পড়বে, তাতে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকার কম হলে হবে না বলেও জানান তিনি। সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সোমবার যুগান্তরকে জানান, এখানে বাংলাদেশ ব্যাংক কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। প্রণোদনা তহবিল সরকারের, কখন কত দেবে-না-দেবে, এর অনুমোদনও দেয় সরকার। বাংলাদেশ ব্যাংক শুধু যে টাকা আসে, তা ছাড় করে। এখানে বাংলাদেশ ব্যাংক কেবলই ‘পোস্ট অফিস’।