কঠিন-জ্বালানি চালিত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা উত্তর কোরিয়ার
সাদাকালো নিউজ
নতুন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে উত্তর কোরিয়া। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম (কেসিএনএ) শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) সকালে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। খবর আল জাজিরার।
প্রতিবেদনে জানা যায়, কঠিন-জ্বালানি আন্তমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা উত্তর কোরিয়ার সামরিক শক্তিকে জানান দিচ্ছে। যা দেশকে নিরাপত্তা দেওয়ার পাশাপাশি বাহিশক্তির হাত থেকে রক্ষা করবে। নতুন এই ক্ষেপণাস্ত্র নিরাপদে সহজে চালানো যায়। গত বছরও রেকর্ড সংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে দেশটি।
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসনের পদক্ষেপকে মোকাবিলা করতে ‘আরও বাস্তব এবং আক্রমণাত্মক’ পদ্ধতিতে যুদ্ধ প্রতিরোধ জোরদার করার আহ্বান জানানোর কয়েক দিন পরেই এই উৎক্ষেপণ ঘটে।
আন্তর্জাতিক শান্তি কার্নেগি এনডাউমেন্টের বিশেষজ্ঞ অঙ্কিত পান্ডার বরাত দিয়ে আল জাজিরা জানায়, এটি উত্তর কোরিয়ানদের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি, তবে একটি অপ্রত্যাশিত নয়, যেহেতু ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ব্যবহার করার জন্য প্রস্তুত, সংকট বা সংঘাতে দ্রুত ব্যবহার হবে।
এদিকে উত্তর কোরিয়ার ক্রমবর্ধমান পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা নিজেদের জন্য হুমকি মনে করে দক্ষিণ কোরিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটন এবং সিউল বলে যে তাদের সামরিক মহড়া প্রতিরক্ষামূলক প্রকৃতির। উত্তর কোরিয়ার ক্রমবর্ধমান পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র হুমকি স্বরূপ।
মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র অ্যাড্রিয়েন ওয়াটসন এক বিবৃতিতে বলেছেন, কূটনীতিতে দরজা বন্ধ হয়নি, তবে পিয়ংইয়ংকে অবিলম্বে তার অস্থিতিশীল কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে হবে এবং পরিবর্তে কূটনৈতিক ব্যস্ততা বেছে নিতে হবে।
এদিকে উত্তর কোরিয়া, মার্কিন এবং দক্ষিণ কোরিয়ার বাহিনীর মধ্যে সাম্প্রতিক যৌথ সামরিক মহড়াকে উত্তেজনা বাড়িয়ে তোলার সমালোচনা করে অস্ত্র পরীক্ষা বাড়িয়েছে।
উত্তর কোরিয়া চলতি বছর প্রায় ৩০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। কিম তার সামরিক বাহিনীকে ‘প্রকৃত যুদ্ধের’ প্রস্তুতির জন্য মহড়া জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন।