ওয়ারলেস মোড়ে প্লাস্টিকের ড্রামে ককটেল ছিল: পুলিশ
সাদাকালো নিউজ
রাজধানীর মগবাজারে ওয়ারলেস মোড়ে সেন্ট মেরিস ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের সামনে প্লাস্টিকের ড্রামে থাকা ককটেল বিস্ফোরিত হয়েছিলো বলে জানিয়েছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে বিস্ফোরিত ককটেলের অংশ বিশেষ আলমাত হিসেবে উদ্ধারও করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) রাতে মগবাজারে প্লাস্টিক ড্রামে বিস্ফোরণের ঘটনায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা থানায় বিস্ফোরক আইনে একটি মামলা হয়েছে। মামলার এজহারে ককটেল বিস্ফোরিত হয়েছে বলে পুলিশ উল্লেখ করেছে।
এজহারে মামলার বাদী রমনা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহাদাত হোসেন বলেন, আমরা মঙ্গলবার সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে বিকট একটি শব্দ শুনতে পাই। পরে বেতার যন্ত্রের মাধ্যমে জানতে পারি বড় মগবাজার সেন্ট মেরিস ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের পাশে ফার্ট ফার্মা লিমিটেড নামক ওষুধের দোকানের সামনে একটি প্লাস্টিকের ড্রাম বিস্ফোরণ ঘটেছে। এ খবর পেয়ে ফোর্সসহ আমি দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে ৪-৫ জনকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে চিকিৎসার জন্য তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠাই।
এজহারে সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকালে সেন্ট মেরিস ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ভবনের ভেতর থেকে একটি প্লাস্টিকের ড্রাম বের করে নিয়ে আসা হয়। ড্রামটি অনেকদিন ধরে পরিতক্ত অবস্থায় ছিল ভবনের ভেতরে। একই ভবনের নিচ তলায় থাকা ফাস্ট ফার্মা লিমিটেড নামক দোকানটির সামনে প্লাস্টিকের ড্রামটি রাখা হয়। পরে পাশে থাকা বিসমিল্লাহ ভাঙারীর কর্মচারী আতিকুল ইসলাম (১৫) ড্রামটি দোকানের সামনে থেকে সরাতে গেলে এতে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে পথচারী অগ্রণী অ্যাপার্টমেন্টের প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম (৩৫), ডিপিডিসির কর্মচারী আবুল কালাম (২৫), মো. তারেক (২৫), মো. শাহীন (২৭) ও ভাঙ্গারীর কর্মচারী আতিকুল ইসলাম (১৫) আহত হন। আতিকুল গুরুতর আহত অবস্থায় বর্তমানে শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে আছেন।
মামলার এজহারে এসআই শাহাদাত হোসেন বলেন, বিস্ফোরণের পর সিআইডি ক্রাইম সিন, কাউন্টার টেরোরিজমের (সিটিটিসি) বোম ডিস্পোজাল ইউনিট, গোয়েন্দা বিভাগসহ বিভিন্ন ইউনিট ঘটনাস্থলে আসে। পরবর্তীতে সিআইডি ক্রাইম সিন ইউনিটের পুলিশ পরিদর্শক খন্দকার বাবুল আক্তারের মাধ্যমে ঘটনাস্থল থেকে বস্তুগত আলমত হিসেবে বিস্ফোরিত গ্লাস ভাঙ্গার কিছু অংশ বিশেষ, বিস্ফোরিত প্লাস্টিকের ড্রামের মুখ, বিস্ফোরিত ড্রামের নিচের ফাটা অংশসহ বিভিন্ন আলামত জব্দ করেন।
এছাড়া, কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের বোম ডিস্পোজালের উপস্থাপন মতে ঘটনাস্থল থেকে বস্তুগত আলমত হিসেবে সোয়াব কিট ৩টি, বিস্ফোরিত ককটেলের অংশ বিশেষ ৬ টুকরা টিনের অংশ, বিস্ফোরিত স্থানে টিস্যুর অংশ, বিস্ফোরিত ককটেলের কিছু পলিসহ বিভিন্ন আলামত জব্দ করা হয়।
অন্যদিকে ফার্স্ট ফার্মা থেকে একটি সিসিটিভি’র ডিভিআর, একটি হাই পাওয়ার এলইডি মনিটর আলামত হিসেবে জব্দ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, অজ্ঞাতনামা আসামিরা একে অপরের সহায়তায় রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য সাধারণ মানুষের জীবন অথবা সম্পত্তির ক্ষতিসাধন করার উদ্দেশ্যে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে।
এদিকে, মামলা দায়েরের পর রমনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল হাসান বলেন, মগবাজারে ঘটনায় বিস্ফোরক আইনে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়েছে। বিস্ফোরণের রহস্য উদঘাটনে আমরা কাজ করছি।