ওয়ানডেতে প্রথমবার ১০ উইকেটে জিতল বাংলাদেশ
সাদাকালো নিউজ
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম দুই ওয়ানডেতে আগে ব্যাট করে দাপট দেখিয়ে বড় সংগ্রহ পেয়েছিল বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচে আগে ফিল্ডিংয়ে নেমে টাইগাররা দেখিয়েছে বোলিংয়ের ধার। একইসঙ্গে ব্যাট হাতেও যথারীতি দেখিয়েছে দাপট।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশি বোলারদের তোপে ২৮.১ ওভারে মাত্র ১০১ রানে অল আউট হয়েছিল আয়ারল্যান্ড। জবাবে কোনো উইকেট না হারিয়ে মাত্র ১৩.১ ওভারেই লক্ষ্য স্পর্শ করে টাইগাররা।
এই জয়ে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতল বাংলাদেশ। সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়েছিল।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই আইরিশ বোলারদের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক খেলতে থাকেন তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। শতোর্ধ্ব রানের অবিচ্ছেদ্য জুটি গড়ে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন তারা। এ সময় দুজন অপরাজিত ছিলেন যথাক্রমে ৪১ ও ৫০ রানে।
এর আগে বৃহস্পতিবার টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন আয়ারল্যান্ড অধিনায়ক অ্যান্ড্রু বালবির্নি। দলটির হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন পল স্টার্লিং ও স্টিফেন দোহেনি। শুরু থেকেই দেখে খেলতে থাকে দুজন।
ইনিংসের পঞ্চম ওভারে এসে প্রথম সাফল্য পায় বাংলাদেশ। এ সময় হাসান মাহমুদের বলে সাজঘরে ফেরেন ৮ রান করা দোহেনি। ব্যক্তিগত পঞ্চম ওভারে জোড়া আঘাত হানেন এ পেসার। স্টার্লিং ৭ রান করলেও খাতা খুলতে পারেননি হ্যারি টেক্টর।
পাওয়ার প্লে-র শেষ ওভারে আনন্দে মাতেন তাসকিন আহমেদ। আইরিশ অধিনায়ক বালবির্নিকে ৬ রানে আউট করেন তিনি। মাত্র ২৬ রানে চার উইকেট হারানো আয়ারল্যান্ডের হাল ধরেন কার্টিস ক্যাম্ফার ও লরকান টাকার।
ক্যাম্ফার ও টাকারের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছিল আইরিশরা। তবে এমন সময়ের দৃশ্যপটে এবাদত হোসেনের আগমন। ২৮ রানে টাকারকে ফিরিয়ে প্রথমে ৪২ রানের জুটি ভাঙেন তিনি। পরের বলেই জর্জ ডকরেলকে ফেরান এ পেসার।
অন্য দুই পেসারের দিনে তাসকিনও থেমে থাকেননি। আক্রমণে এসে তিনিও একই ওভারে শিকার করেন দুই উইকেট। তার বিপক্ষে অ্যান্ডি ম্যাকব্রিন ১ রান করলেও ডাকের স্বাদ পেয়ে মাঠ ছাড়েন মার্ক আদাইর।
একপ্রান্ত আগলে রেখে লড়াই করছিলেন তাসকিন আহমেদ। তিনি পরাস্ত হন হাসানের বলে। নবম উইকেট হিসেবে সাজঘরে ফেরার আগে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৬ রান করেন তিনি।
শেষ উইকেট হিসেবে গ্রাহাম হিউমকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে ফাইফারের পাশাপাশি ক্যারিয়ারসেরা বোলিংয়ের রেকর্ড গড়েন হাসান। এছাড়া তাসকিন তিনটি ও এবাদত দুটি করে উইকেট শিকার করেন।