এবার প্রেমের টানে চীনের যুবক চুয়াডাঙ্গায়!
সাদাকালো নিউজ
প্রেম মানে না বাঁধা, প্রেম মানে না সীমানা। জাতি-ধর্ম, শত্রু-মিত্র কিছুই মানে না প্রেম। প্রেমে পড়লে মানুষ দুঃসাহসী হয়ে ওঠে, উপেক্ষা করতে পারে সব বাধা। চিরায়ত এই সত্যগুলো আরও একবার প্রমাণ করলেন চীন ও বাংলাদেশের এক প্রেমিক জুটি।
কে জানতো চীনের ছেলে মন দেবেন বাংলাদেশের এক তরুণীকে? সত্যিই হয়েছে তাই। এবার সেই প্রেমের টানে চুয়াডাঙ্গায় এসে ঘর বাঁধলেন চীনের নাগরিক সাউই চুই। ভালোবেসে তিনি বিয়ে করেছেন গার্মেন্টস কর্মী ফারিয়া সুলতানাকে।
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার গয়েশপুর গ্রামের সানোয়ার হোসেনের মেয়ে ফারিয়া সুলতানা। ঢাকার একটি গার্মেন্টেসে চাকরি করেন তিনি। গেল ১০ জুলাই নিজের প্রেমিককে জীবননগরে নিয়ে আসেন ফারিয়া।
প্রেমের টানে বাংলাদেশে এসে বিয়ে করায় নতুন বরকে দেখতে ফারিয়ার বাড়িতে এখন ভিড় করছেন আশপাশের এলাকার মানুষ। আর ভিনদেশি জামাই পেয়ে খুশি ফারিয়ার বাবা-মা থেকে শুরু করে আত্মীয় স্বজনরাও।
জানা যায়, চীনা নাগরিক চুই এর বোন ঢাকায় গার্মেন্টেসের ব্যবসা করেন। সেই সুবাদে পোশাক কর্মী ফারিয়ার সাথে চুই এর বোনের ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরে ফেসবুক এবং বোনের মাধ্যমে চুই এর সাথে পরিচয় হয় ফারিয়ার। পরিচয় থেকে বন্ধুত্ব এরপর ভালোবাসার সম্পর্ক। দীর্ঘদিনের সেই সম্পর্ক সম্পূর্ণ হয় বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার মাধ্যমে।
কিছুদিন আগে চুয়াডাঙ্গার তরুণী ফারিয়ার টানে চীন থেকে বাংলাদেশে ছুটে আসেন সাউই চুই। ঈদুল আজহার পরদিন দুজনে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন। কিছুদিন ঢাকায় থাকার পর ১০ জুলাই স্বামীকে নিয়ে জীবননগরে যান ফারিয়া। বর্তমানে তারা সেখানেই বসবাস করছেন।
পোশাক কর্মী ফারিয়া জানান, সাউই চুয়ের সাথে তার ফেসবুকে পরিচয় এবং বন্ধুত্ব। এরপর অনেকদিন তারা মোবাইলে কথা বলেছেন। চুইকে কখনো সরাসরি দেখার সুযোগ হয়নি তার। একটা সময় বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন দুজনে। সে অনুযায়ী চুই বাংলাদেশে আসে। পরে ইসলামী রীতি অনুযায়ী বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন তারা।
টুকটাক বাংলা বলতে পারা সাউই চুই গণমাধ্যমকে জানান, ভালোবাসার সম্পর্ক পবিত্র। এটা তার কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আর এই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে স্বেচ্ছায় ফারিয়ার কাছে ছুটে এসেছেন তিনি। নব এই দম্পত্তি যেন সুখে-শান্তিতে থাকতে পারে সেজন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন ফারিয়ার পরিবার।
জীবননগর থানার ওসি নাসির উদ্দিন মৃধা জানান, ভিজিট ভিসায় দেশে এসেছেন চীনের ওই নাগরিক। বর্তমানে তিনি গয়েশপুর গ্রামে স্ত্রী ফারিয়াকে নিয়ে বসবাস করছেন। তবে ভিজিট ভিসার মেয়াদ কম থাকায় তাকে হয়তো দ্রুত নিজের দেশে ফিরে যেতে হবে।