‘এখন আল্লাহর দিকে চাইয়া আছি’
সাদাকালো নিউজ
‘সবার সবকিছু দেখা হইয়া গেছে। আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিস আইছে, নৌ বাহিনী আইছে, পুলিশ, র্যাব সব আইছে; কিন্তু কিছুতেই কিছুই হচ্ছে না। এখন আল্লাহর দিকে চাইয়া আছি। আল্লাহ বৃষ্টি দিক। রহম দিয়ে সবকিছু ঠান্ডা করে দিক। আর কিছুই চাই না। কিছুই চাওয়ার নাই। আমাগো সবকিছু শেষ হয়ে গেছে।’
মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে এভাবেই রাজধানীর বঙ্গবাজারে স্মরণকালের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিজের ক্ষতির বর্ণনা দিচ্ছিলেন ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম। আগুনে সব হারিয়ে আরও অনেক ব্যবসায়ীকে এমন আকুতি করতে দেখা গেছে।
রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘রমজান মাস চলছে। সামনে ঈদ। ছাওয়াল-পাওয়ালদের কতকিছু কিনে দেব বলে কথা দিছিলাম। এখন আমাগো সবকিছু শেষ হয়ে গেছে। আল্লাহ রহম না করলে আর কিছুতেই কিছু করা যাবে না।’
রফিকুল বলেন, আমাগো মার্কেট লোহাকাঠ আর টিন দিয়ে পাটাতন করা। কাঠের আগুন লাগলে নেভানো কঠিন। ফায়ার সার্ভিস যে পানি দিচ্ছে তা দিয়ে এ আগুন নেভানো সম্ভব না।
কেরানীগঞ্জ চুনকুটিয়া থেকে আসা আরেক ব্যবসায়ী আব্দুর রহমান দুলাল বলেন, রহমানিয়া ফ্যাশন নামে আমার দোকান ছিল। এখন আর কিছু নেই। তিনটি গোডাউনে প্রায় এক কোটি টাকার মালামাল ছিল। এখন সেসব ফাঁকা মাঠের মতো হয়ে গেছে। কিছু মাল বের করলেও বেশিরভাগই বের করতে পারিনি।
তিনি বলেন, সকাল ৬টায় আমরা মার্কেটে এসেছি। ফায়ার সার্ভিসের যেভাবে কাজ করার কথা ছিল তা করেনি তারা। অগ্নিনির্বাপক বল নিক্ষেপ করলে হয়তো কাজ হতো, কিন্ত তা করেনি। শেষদিকে সবকিছু শেষ হয়ে গেলে যখন পুলিশ হেড কোয়াটার্সের দিকে আগুন ধেয়ে আসছে তখন তারা এসব বল নিক্ষেপ করেছে। সবার ধান্দা মার্কেট পুরো পুড়ে যাক। পরে বহুতল ভবন নির্মাণ করবে তারা।
এর আগে মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) সকাল ৬টা ১০ মিনিটে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। আর ৬টা ১২ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি কাজ করছে সেনা, নৌ, বিমান এবং বিজিবিসহ সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।