এক লাল কার্ডেই সব ‘শেষ’ বার্সার
চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে ঘরের মাঠে হেরে গিয়ে বিদায় নিতে হয়েছে স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সেলোনাকে। বার্সার মাঠে পিছিয়ে গিয়েও ৪-১ গোলে জিতে ৬-৪ অগ্রগামিতায় সেমির টিকিট নিশ্চিত করেছেন এমবাপ্পে-ডেম্বেলেরা। বার্সার হারের পেছনে রোমানিয়ান রেফারি ইস্তভান কোভাচের সিদ্ধান্তই দায়ী বলে মনে করেন জাভি।
ম্যাচের ২৯ মিনিটে লাল কার্ড দেখে রোনাল্ড আরাউহো মাঠ ছাড়লে ১০ জনের দলে পরিণত হয় বার্সা। বাধ্য হয়েই লামিন ইয়ামালকে তুলে রক্ষণে ইনিগো মার্তিনেজকে নামান জাভি। তবুও সেই ধাক্কা আর সামাল দিয়ে উঠতে পারেনি কাতালানরা। ১ গোলে এগিয়ে থাকা বার্সেলোনা এর পরে হজম করে একে একে ৪ গোল, প্রথমার্ধে ১টি, দ্বিতীয়ার্ধে ৩টি। রেফারি কোভাচের সিদ্ধান্তকে ‘বিপর্যয়’ বলে আখ্যা দিয়েছেন জাভি।
ম্যাচের ২৯ মিনিটে ওয়ান টু ওয়ান লাস্ট ম্যান চ্যালেঞ্জে ব্র্যাডলি বারকোলাকে ফাউল করলে সরাসরি লালকার্ড দেখেন রোনাল্ড আরাউহো। তার আগে ১২ মিনিটে লামিন ইয়ামালের দারুণ অ্যাসিস্টে রাফিনহার গোলে এগিয়ে গিয়েছিল বার্সা। ৪০ মিনিটে ওসমান ডেম্বেলের গোলে সমতায় ফেরে পিএসজি। দ্বিতীয়ার্ধে ভিটিনহার একটি ও এমবাপ্পের জোড়া গোলে জয় নিশ্চিত হয় পিএসজির।
তার আগে গোলরক্ষক কোচ রোমান দে লা ফুয়েন্তের সঙ্গে জাভি নিজেও লাল কার্ড দেখেন রেফারির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করায়। সেখানে অবশ্য নিজের দায় আছে বলে মেনে নিয়েছেন তিনি।
পিএসজি কোচ লুইস এনরিকেও ম্যাচ শেষে লাল কার্ড নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি রেফারি নিয়ে কথা বলি না। কোচ হিসেবে আমি কখনো রেফারিকে নিয়ে কথা বলিনি। আমি সেখানেই মনোযোগ দিই, যা আমার নিয়ন্ত্রণে থাকে।’ এ সময় তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমি সত্যিই মনে করি যে লাল কার্ড ছাড়াও আমরা ম্যাচটা জিততে পারতাম; যদিও আমরা তা প্রমাণ করতে পারব না।’