এক ডিম ১৩ টাকা ক্ষুব্ধ ভোক্তা
সাদাকালো নিউজ
রাজধানীর বাজারে হঠাৎ করেই বেড়েছে ডিমের দাম। প্রতি পিস ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩ টাকা দরে। হালি ৫২ টাকা। প্রায় ১০ দিনের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারে প্রতি ডজন ডিমে দাম বেড়েছে ২০ থেকে ২৫ টাকা। আবার বাড়তি দামে কেনা-বেচা হলেও এর কারণ জানেন না ক্রেতা-বিক্রেতা কেউই।
মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) রাজধানীর ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর ও মিরপুর এলাকা ঘুরে ডিমের দামের এই চিত্র দেখা গেছে।
এসব এলাকায় ডিম সরবরাহেও কোনো ঘাটতি নেই। প্রতিটি দোকানেই থরে থরে সাজানো রয়েছে ডিম। দোকানিদের ভাষ্য, সকালেই দোকানে ডিম এসেছে। চাহিদা অনুপাতে ডিমও পেয়েছেন। শুধু দাম বেশি।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের আরাফাত জেনারেল স্টোরের মালিক ফরহাদ হোসেনের কাছে ডিমের বর্তমান দর সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান, এক হালি ডিম ৫২ টাকা। পিস বিক্রি করছেন ১৩ টাকা।
গত মাসের শেষ সপ্তাহের দামের সঙ্গে তুলনা করে ফরহাদ বলেন, ‘১০ দিন আগেও ১৩৫ টাকা ডজন বিক্রি করেছি। এখন সেটা ১৫৫ টাকা।’
দাম বৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘দাম বাড়ার কারণ তো আমরা জানি না। আমরা পাইকারের থেকে কিনে রাখি। তাদের কাছে দাম বেশি থাকলে, আমাদের কাছে বাড়ে। এখানে আমাদের কোনো হাত নাই।’
একই কারণ জানালেন মুদি ব্যবসায়ী মো. বিল্লাল হোসেন৷ রাজধানীর মোহাম্মদপুরের এই ব্যবসায়ী জানান, মঙ্গলবার সকালে তিনি ডিম কিনেছেন। পাইকারি ১২৮০ টাকা শ।
এই দুই দোকানে ডিম সরবরাহ করেন ফজলে রাব্বি। আড়তদারের থেকে কিনে এনে মহল্লার দোকানে দেওয়াই তার কাজ।
ডিমের বাজার সম্পর্কে জানতে চাইলে রাব্বি বলেন, ‘আজকে আড়ত থেকে কেনা ১১৯০, ১১৯৫ টাকা শ। আমরা দোকানে দিছি ১২৬০ থেকে ১২৮০ টাকা শ। যারা বাইছা বড় ডিম নেয় তাগো জন্য ১২৮০ টাকা। আর যারা মিলাইয়া নেয়, তাগো জন্য ১২৬০ টাকা।’
দাম বৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘গত মাসের শেষেও হাজারের নিচে শ ছিল। হুট কইরা বাইড়া গেছে৷ বাড়ছে ক্যান, তা তো জানি না।’
নগরীর ধানমন্ডির শংকর, ১৫ নম্বর, শুক্রাবাদ এলাকায়ও একই দামে ব্রয়লার মুরগির ডিম বিক্রি হতে দেখা গেছে৷
এদিকে উৎপাদনের চেয়ে অধিক মুনাফায় ডিম বিক্রি হলে ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। অতিরিক্ত দাম বেড়ে বাজার এলোমেলো হলে এই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান।
তিনি বলেন, ‘এর আগেও আমরা এটি নিয়ে কাজ করেছি। একই বিষয়ে মনোযোগ দিলে হবে না, আমাদের আরও কাজ থাকে। এরপরও ডিমের বাড়তি দামে বাজার যদি খুব বেশি এলোমেলো হয়ে যায় আমরা বসে থাকব না, ভোক্তাদের স্বার্থে অভিযানে নামব।’
ভোক্তা অধিকারের মহাপরিচালক বলেন, ‘কাঁচা মরিচ বাজার এলেমেলো করে দিল, আমরা কিন্তু অভিযানে নেমেছি। ভোক্তাদের স্বার্থে আমরা সব জায়গায় কিন্তু যাচ্ছি- সেটা সিলিন্ডার গ্যাস হোক আর চার্জার ফ্যান হোক। এখানেও ব্যত্যয় হলে মাঠে নামব।’