‘একতারা’ প্রতীক পেয়ে হিরো আলমের হুংকার!
সাদাকালো নিউজ
হাইকোর্টে আপিল করে নির্বাচনে লড়ার প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ফেসবুক ও ইউটিউবের ভাইরাল তারকা হিরো আলম। নির্বাচন কমিশন থেকে তার প্রার্থিতা বাতিল হওয়ার পর হাইকোর্টে আবেদন করে প্রার্থীতা ফিরে পান তিনি। এরপর সিংহ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করার ঘোষণা দেন।
বুধবার বগুড়ার সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহমুদ হাসানের কাছে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলম সিংহ প্রতীক নেয়ার কথা জানান। কিন্তু সিংহ প্রতীক রাজনৈতিক দলের জন্য নিবন্ধিত আছে বলে জানান সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা। পরে হিরো আলম প্রতীক হিসেবে একতারা নেন।
প্রতীক গ্রহণ করে হিরো আলম সাংবাদিকদের বলেন, সিংহ প্রতীক বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আন্দোলন নামে একটি দলের নিবন্ধন করা। এটা আমি জানতাম না। ২০১৮ সালে ওই প্রতীক নিবন্ধিত ছিল না। তাই মার্কা পরিবর্তন করে এবার একতারা নিলাম।
জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী উল্লেখ করে হিরো আলম বলেন, বিগত নির্বাচনে আমার লোক কম ছিল তাই বেশ কয়েকজন আমার ওপরে চড়াও হয়েছিল। এবার আমার কর্মী বাহিনী অনেক বেশী। কেউ চড়াও হলে উচিত জবাব দেব।
জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম প্রতীক বরাদ্দের পর হিরো আলমের মানসিক শক্তির প্রশংসা করেন। একিসঙ্গে হিরো আলমের জন্য শুভ কামনা জানান। এছাড়া সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের আশ্বাস দেন।
এর আগে ২০১৮ সালেও হিরো আলম বগুড়া-৪ আসন থেকে নির্বাচন করেছিলেন। তবে তিনি জামানত হারিয়েছিলেন। সম্প্রতি বিএনপির সংসদ সদস্য পদত্যাগের পর নতুন করে বগুড়ার দুটি আসনে উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।
হিরো আলমের দাবি, ভোটারদের চাওয়ায় এবার তিনি দুটি আসন থেকে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু দুই আসনের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছিলো নির্বাচন কমিশন। অবশেষে আদালতে গিয়ে প্রাথমিক জয় পায় হিরো আলম।
বগুড়ার প্রত্যন্ত এরুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা বহুল আলোচিত হিরো আলম। এক সময় সিডি বিক্রি করতেন। সিডি যখন চলছিল না তখন ডিশ সংযোগের ব্যবসা শুরু করেন। শৈশবে চানাচুরও বিক্রি করেছেন। ২০০৮ সালে মডেলিং পেশায় নিয়োজিত হন তিনি।
এরপর হিরো আলম পরিচিতি পান নানারকম ফানি কনটেন্ট ও মিউজিক ভিডিও বানিয়ে। একাধিক সিনেমাতেও অভিনয় করেছেন হিরো আলম। তিনি আলোচিত যেমন হয়েছেন, নানাভাবে হয়েছেন বিতর্কিতও।