উন্নত ও সমৃদ্ধ অর্থনীতির বাংলাদেশ গড়তে এফবিসিসিআই’র বিজনেস সামিট
সাদাকালো নিউজ
স্বাধীনতা যুদ্ধে ভেঙ্গে পড়া অর্থনীতির বাংলাদেশ তার অর্জনে গর্জনে বিশ্ব দরবারে এখন শক্ত অবস্থানে। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নয়নের শিখরে উঠছে চায় লাল সবুজের বাংলাদেশ। লক্ষ্য ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির সক্ষমতা অর্জন। এমন বাস্তবতায় প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর উদযাপন উপলক্ষে দেশে প্রথমবারের মতো বিজনেস সামিট আয়োজন করতে যাচ্ছে এফবিসিসিআই। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ সামিট হবে আগামী ১১ থেকে ১৩ মার্চ।
এফবিসিসিআই’র সভাপতি জসিম উদ্দিন জানান, অনেক দেশ আছে, তাদের অনেক কিছুই নাই। কিন্তু তারা মার্কেটিং করে ভালো অবস্থানে আছে। বাংলাদেশেও অনেক ভালো ভালো জিনিস রয়েছে, কিন্তু আমরা ওইভাবে প্রমোট করতে পারিনি। এখন সময় এসেছে বাংলাদেশকে ব্র্যান্ডিং করার, পজিটিভ ব্র্যান্ডিং করার। বাংলাদেশের যে বর্তমান পরিস্থিতি, এটিও যদি তোলে ধরেন, তাহলেও কিন্তু চলে। আমাদের বাড়তি কিছু দরকার নেই। তাই, এফবিসিসিআই মনে করে, এটাকে আমাদের প্রমোট করা দরকার। প্রাইভেট সেক্টরের পক্ষ থেকে সেটি আমরা শুরু করলাম।
সামিটে বৈশ্বিক ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা, বিনিয়োগকারীসহ দুইশোর বেশি বিদেশি অতিথি অংশ নেবেন। বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণের সম্ভাবনা, বাধা ও উত্তরণের উপায় খুঁজতে সামিটে ৩টি প্ল্যানারি ও ১৩টি প্যারালাল সেশন থাকবে।
এফবিসিসিআই’র সভাপতি আরও জানান, প্রতিটি সেশন এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে, সেখানে আমাদের বাংলাদেশের যারা এক্সপার্ট, তারা ডকুমেন্ট প্রেজেন্ট করবে। সরকারের নীতি-নির্ধারকরা সেখানেই পার্টিসিপেশন করবেন। তাদের কমিটমেন্ট, তারা করবেন এবং বিদেশিদের কী চাহিদা, তাদের দেশের কী অভিজ্ঞতা, এইসব বিষয় নিয়ে, সেটিই আমরা তোলে ধরবো।
দেশের উদ্যোক্তাদের আশা বিজনেস সামিট সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যকে ত্বরান্বিত করবে।
এফবিসিসিআই’র সাবেক সভাপতি মাতলুব আহমাদ জানান, আমরা প্রত্যাশা করছি, অনেক বড় বড় শিল্পের বীজ বপন হবে এই সামিটে। যার ফলাফল আমরা পরবর্তী দুই-তিন বছরে আমরা দেখতে পারবো। আর এটাই ভিশন-২০৪১ এর প্রথম পদক্ষেপ।
তিন দিনব্যাপী সামিট উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি এতে নিতে যাওয়া অতিথিদের স্বাগত জানিয়েছেন।