ইসরাইলের জাতিসংঘ ত্রাণ সংস্থার কার্যক্রম নিষিদ্ধের নিন্দা সৌদি আরবের
ফিলিস্তিনের যুদ্ধবিধ্বস্ত বাসিন্দাদের সহায়তার জন্য জাতিসংঘের সংস্থা ইউএন এজেন্সি রিলিফ অ্যান্ড ওয়ার্ক এজেন্সি ফর প্যালেস্টাইনিয়ান রিফিউজিসের (ইউএনআরডব্লিউএ) কার্যক্রম নিষিদ্ধ করতে বিল পাস হয়েছে ইসরাইলের পার্লামেন্ট নেসেটে। বিলে বলা হয়েছে, ইসরাইলের মূল ভূখণ্ড এবং ইসরায়েল নিয়ন্ত্রিত ভূখণ্ডে সংস্থাটি কার্যক্রম চালাতে পারবে না।এ কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সৌদি আরব।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে আরব নিউজ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদি কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার ইসরাইলি পার্লামেন্টের সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছে। ইসরাইলের এই সিদ্ধান্ত ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্ম সংস্থাকে কার্যক্রম পরিচালনা করতে বাধা দিবে।এটিকে ‘আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন’ হিসাবে বর্ণনা করেছে সৗেদি আরব।
ইসরাইলি আইনপ্রণেতারা জাতিসংঘের ত্রাণ সংস্থার কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার পক্ষে ভোট দেওয়ার একদিন পর সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই মন্তব্য করল।
সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘এই সিদ্ধান্তটি আন্তর্জাতিক বৈধতার উপর সরাসরি আক্রমণ। যা ফিলিস্তিনি জনগণকে উপেক্ষা করে অভূতপূর্ব মানবিক বিপর্যয় এবং প্রয়োজনীয় পরিষেবা প্রদানে জাতিসংঘের ভূমিকার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া’।
‘রাজনৈতিকভাবে এবং সামরিকভাবে জাতিসংঘের সংস্থাগুলো এবং ত্রাণ সংস্থাগুলোকে লক্ষ্য করে ইসরাইলি দখলদার কর্তৃপক্ষের ক্রমাগত হামলা সৌদি কর্তৃপক্ষ স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে’।
এতে আরো বলা হয়, ‘এই সিদ্ধান্ত ইসরাইলি কর্তৃপক্ষকে জাতিগত নির্মূলের মাধ্যমে ফিলিস্তিনি পরিচয় মুছে ফেলার চেষ্টা এবং একটি ব্যাপক শান্তি প্রক্রিয়া প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টাকে বাধা দিবে’।
গাজায় চলমান যুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের জীবন রক্ষাকারী হিসেবে ধরা হয় জাতিসংঘের এই সংস্থাকে। যুদ্ধের একেবারে শুরু থেকে অতিপ্রয়োজনীয় ত্রাণ ও মানবিক সহায়তা সামগ্রী নিয়ে গাজাবাসীর পাশে রয়েছে ইউএনআরডব্লিউএ।
ইসরাইল অভিযোগ করে আসছে, ইউএনআরডব্লিউএর কর্মীদের মধ্যে কেউ কেউ হামাস ও অন্যান্য সশস্ত্র সংগঠনের সদস্য হিসেবে কাজ করছে।