ইউরোপ নাকি ভারত আরাভ খান কোথায়?
সাদাকালো নিউজ
সম্প্রতি ব্যাপক ঢাকঢোল পিটিয়ে দুবাইয়ে একটি স্বর্ণের দোকান চালু করেন আরাভ খান। তার সেই দোকান উদ্বোধন করতে যান তারকা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান, চিত্রনায়িকা প্রার্থনা ফারদিন দীঘি, ইউটিউবার হিরো আলমসহ বেশ কয়েকজন তারকা। এরপর থেকে তুমুল আলোচনায় তিনি।
পরে জানা যায়, আরাভ খান নাম ধারণ করে দুবাইয়ে পাড়ি জমানো এই ব্যক্তি একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে শেষ করে দেয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত রবিউল ইসলাম ওরফে আপন। এরপর তার বিরুদ্ধে কীভাবে আইনি ব্যবস্থা নেয়া যায় তা নিয়ে তৎপর হয় পুলিশ। ইন্টারপোলের কাছে রেড নোটিশ জারির আবেদন করা হয়। যোগাযোগ করা হয় ভারত ও দুবাইয়ের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গেও। দ্রুত তাদের সাড়াও মেলে।
আরাভকে দেশে ফেরাতে রেড নোটিশ জারি করেছে ইন্টারপোল। এরপর থেকে আরাভ খানের কোনো হদিশ পাওয়া যাচ্ছে না। এর আগে একের পর এক লাইভ ও স্ট্যাটাসে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব থাকলেও এখন আর তিনি নেই। এমনকি তাঁর স্বর্ণের দোকানেও নেই কোনো স্বর্ণ। কেবল বাজপাখির আদলে তৈরি স্বর্ণের লোগোটি এখন শোভা পাচ্ছে দোকানটিতে। ক্রেতারা তার দোকানে গিয়ে স্বর্ণ না পেয়ে ফিরে আসছেন।
স্থানীয় স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা বলছেন, আরাভের দোকান যেসব স্বর্ণ দিয়ে সাজানো হয়েছিলো সেগুলো আরেক ব্যবসায়ীরা কাছ থেকে ধার করে নেয়া। এসব স্বর্ণের জন্য আরাভ বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩ কোটি টাকা জামানত রেখেছিলেন। কিন্তু আরাভের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার খবর পেয়ে ওই ব্যবসায়ী জামানতের টাকা ফেরত দিয়ে জুয়েলারিগুলো ফিরিয়ে নিয়ে গেছেন।
এদিকে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারির পর থেকেই নিরুদ্দেশ হয়েছেন আরাভ। অনেকেই বলছেন, ইউরোপে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন আরাভ। তবে রেড অ্যালার্ট জারির পর সে দুবাই ছাড়তে পারবে কি না তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় প্রবাসীরা। আবার কেউ বলছেন, রেড অ্যালার্ট জারি হওয়ার আগেই ভারতেহ চলে গেছেন আরাভ।
গেল সোমবার চট্টগ্রামে এক অনুষ্ঠানে আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন জানান, আরাভ খান ওরফে রবিউল ইসলামের নামে ইন্টারপোল রেড নোটিশ জারি করা হয়েছে। এরপর ন্যায়বিচার চেয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় খোলা চিঠি দেন আরাভ খান।
সেখানে আরাভ জানান, আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। সবসময় আমার দোয়া আপনাদের ওপরে থাকবে। আমি বাঁচি আর নাই বা বাঁচি আপনাদের কথা সারাজীবন আমার মনে থাকবে।
দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়ে তিনি আরও লেখেন, আমি যদি কোনো ভুল করে থাকি আপনারা আমাকে মাফ করে দেবেন। আমি জানি না আমার সঙ্গে কী হবে। কিন্তু আমি চাই ন্যায়বিচার। সেটা হয়তো সম্ভব না। তবে আল্লাহ আছেন। এই বিচার আল্লাহর কাছে ছেড়ে দিলাম।