আয় বাড়ছে এপেক্স ফুটওয়ারের
সাদাকালো নিউজ
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেডের বিক্রি বাবদ আয় চার বছরেরও বেশি সময় ধরে কমতে দেখা গেছে। তবে এ সময়ে প্রতি বছরই রফতানি আয়ের তুলনায় কোম্পানিটির স্থানীয় বাজার থেকে আয় বাড়তে দেখা গেছে। কোম্পানির পাঁচ বছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
এপেক্স ফুটওয়্যারের আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, ২০১৭-১৮ হিসাব বছরে কোম্পানিটির মোট আয় হয়েছে ১ হাজার ৫৯৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে রফতানি আয় ছিল ৫৬ দশমিক ৪০ শতাংশ। আর স্থানীয় বাজার থেকে আয় হয়েছে ৪৩ দশমিক ৬০ শতাংশ। ২০১৮-১৯ হিসাব বছরর কোম্পানিটির মোট আয় হয়েছে ১ হাজার ৫৮০ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। এর ৫১ দশমিক ৯০ শতাংশ রফতানি আয় ও ৪৮ দশমিক ১০ শতাংশ স্থানীয় বাজার থেকে এসেছে। ২০১৯-২০ হিসাব বছরে কোম্পানিটির মোট আয় হয়েছে ১ হাজার ১৮১ কোটি ২ লাখ টাকা। এর মধ্যে বিদেশী বাজার থেকে ৪৯ দশমিক ৪০ শতাংশ ও স্থানীয় বাজার থেকে ৫০ দশমিক ৬০ শতাংশ আয় করেছে কোম্পানিটি। ২০২০-২১ হিসাব বছরে কোম্পানিটির মোট আয় হয়েছে ১ হাজার ১৭৬ কোটি ৪১ লাখ টাকা। এর মধ্যে ৪৩ দশমিক ২০ শতাংশ রফতানি আয় ও ৫৬ দশমিক ৮০ শতাংশ স্থানীয় বাজার থেকে আয় করেছে কোম্পানিটি। আর সর্বশেষ ২০২১-২২ হিসাব বছরে কোম্পানিটির মোট আয় হয়েছে ১ হাজার ২৯৭ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে স্থানীয় বাজার থেকে কোম্পানিটি ৫৯ দশমিক ২০ শতাংশ আয় করেছে। আর রফতানি আয় হয়েছে ৪০ দশমিক ৮০ শতাংশ। তবে চলতি ২০২২-২৩ হিসাব বছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) সময়ে কোম্পানিটির রফতানি আয় কিছুটা বেড়েছে। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির মোট আয় হয়েছে ৮০১ কোটি ৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে স্থানীয় বাজার থেকে এসেছে ৪৮ দশমিক ৩০ শতাংশ ও রফতানি থেকে এসেছে ৫১ দমমিক ৭০ শতাংশ।
সর্বশেষ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি ২০২২-২৩ হিসাব বছরের প্রথমার্ধে এপেক্স ফুটওয়্যারের কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ৬ কোটি ৭৮ লাখ টাকা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৪ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫ টাকা ৫২ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৩ টাকা ৬৫ পয়সা। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৩১ টাকা ৯৯ পয়সায়।
সর্বশেষ ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২১-২২ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের মোট ৪৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে এপেক্স ফুটওয়্যার। এর মধ্যে ৩৫ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ রয়েছে। আলোচ্য হিসাব বছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১১ টাকা ৭০ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৮ টাকা ৯২ পয়সা। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির ইপিএস বেড়েছে ৩১ দশমিক ১৭ শতাংশ। গত বছরের ৩০ জুন শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়ায় ২৫২ টাকা ৯৫ পয়সায়, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ২৪৪ টাকা ৫৪ পয়সা।
৩০ জুন সমাপ্ত ২০২০-২০২১ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের ৪০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি।