আহমদিয়াদের ওপর হামলায় ১০ মামলা, গ্রেপ্তার ১৩০
সাদাকালো নিউজ
পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের বার্ষিক সালানা জলসাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও জেলাজুড়ে গ্রেপ্তার আতঙ্ক বিরাজ করছে। গ্রেপ্তারের সংখ্যাও বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। পুলিশের পাশাপাশি গ্রেপ্তার অভিযান চালাচ্ছে র্যাব ও বিজিবি।
পুলিশ জানায়, পুলিশ-মুসল্লীদের সংঘর্ষ এবং গুজব ছড়িয়ে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনায় ইতোমধ্যে ১০টি পৃথক মামলা হয়েছে। পুলিশের করা এসব মামলায় এখন পর্যন্ত ১৩০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পঞ্চগড়ের বিভিন্ন থানায় করা এসব মামলায় অজ্ঞাত আসামি কয়েক হাজার।
এর আগে, গত শুক্রবার (৩ মার্চ) আহমদিয়া সম্প্রদায়ের (কাদিয়ানী) বার্ষিক সালানা জলসাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয় পঞ্চগড়। জুমআর নামাজের পর আহমদিয়াদের তিন দিনব্যাপী জলসা বন্ধসহ তাদের ‘অমুসলিম ঘোষণার দাবিতে’ জেলা শহরের বিভিন্ন মসজিদ থেকে খন্ড খন্ড বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। সম্মিলিত খতমে নবুওয়ত সংরক্ষণ পরিষদের ডাকে এই বিক্ষোভ মিছিল জেলার কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে থেকে বড় পরিসরে চৌড়ঙ্গী মোড়ের দিকে আসতে থাকে। এ সময় পুলিশ তাদের বাধা দিলে শুরু হয় সংঘর্ষ। পুলিশের উপর হামলা করে ইট পাটকেল ছুড়তে থাকে মুসল্লিরা। এ সময় পুলিশও পাল্টা জবাব দেয়। এর মধ্যেই বিক্ষোভকারীরা জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান নিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। তারা পুলিশ ও বিজিবির গাড়ি ভাঙচুরসহ ট্রাফিক পুলিশের অফিসেও অগ্নিসংযোগ করে।
এ ছাড়া বিক্ষোভকারীদের একাংশ পঞ্চগড় বাজারে আহমদিয়াদের চারটি দোকানের মালামাল বের করে তাতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় বেশ কিছু বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে।
এ ঘটনায় কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের একজন এবং মুসল্লীদের মধ্যে একজন নিহত হন। পরে রাত ৯টার দিকে জলসা স্থগিত ঘোষণা করলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
পুলিশ সুপার এস. এম সিরাজুল হুদা বলেন, আহমদিয়া সম্প্রদায়ের জলসাকে কেন্দ্র করে ঘটনায় ১০টি মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত মোট ১৩০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসামি গ্রেপ্তার করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে।