আসন্ন বিজনেস সামিট চাঙা করবে পুঁজিবাজারকে
সাদাকালো নিউজ
করোনাভাইরাসের মহামারি আর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে পুঁজিবাজার। তবে, গুজব আর আস্থার সংকট দূর করা গেলে বাজারকে আরও গতিশীল করা সম্ভব। বাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকারি নীতি সহায়তা প্রদানের ফলে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়ছে। আসন্ন বিজনেস সামিট বাজারকে চাঙা করতে সহায়তা করবে বলে আশাবাদী তারা।
তথ্যমতে, ১৯৫৪ সালে পূর্ব পাকিস্তান স্টক এক্সচেঞ্জ নামে যাত্রা শুরু হয় দেশের প্রধান পুঁজিবাজারের। ১৯৬৪ সালে নাম পরিবর্তন করে হয় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ। সেই থেকেই বিনিয়োগকারীদের পুঁজি সংগ্রহ করে দেশের শিল্পোন্নয়নে অবদান রাখছে অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ এই স্তম্ভ। তবে কারসাজি, গুজব আর প্রতিকূলতা যেন এই সেক্টরের সঙ্গী। তা সত্ত্বেও পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছে বার বার। বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যেও মুখ ফিরিয়ে নেয়নি বিনিয়োগকারীরা। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়ানো গেলে বাজার স্থিতিশীল হবে, সে জন্য জরুরি বিদেশি বিনিয়োগ।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ব্রোকার অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি মোস্তাক আহমেদ সাদেক বলেন, সমস্ত শিল্প প্রতিষ্ঠান রেজিস্ট্রেশনের ব্যাপারে যখন তারা দেখবে, যেমন পণ্য দেখবে এতে করে তাদের কর্মচাঞ্চল্য বেড়ে যাবে। তখন স্বয়ংক্রিয়ভাবে পুঁজিবাজারে এটার একটা প্রভাব পড়বে। কাজেই আমরা আশা করছি বিজনেস সামিটের মাধ্যমে পুঁজিবাজারও চাঙা হবে।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার ড. মিজানুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রবৃদ্ধির যে অঙ্গিকার রয়েছে, সেটিকে এই বিজনেস সামিটের মাধ্যমে তুলে ধরা হবে। এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশের সম্ভাবনাকে আমলে নিয়ে পোর্টফলিও ইনভেস্টমেন্ট এবং ফরেন ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্টে আরও বেশি আগ্রহী হবে। বিএসইসি এ ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখতে পারে এবং ক্যাপিটাল মার্কেটে যে কোনো বড় কোম্পানিকে তালিকাভুক্ত করার ক্ষেত্রে আমাদের নিয়ন্ত্রণকারী ভূমিকা থাকে। সেখানে যেকোনো কোম্পানির যদি বিদেশি বিনিয়োগ থাকে, তবে তারা তালিকাভুক্ত হওয়ার মাধ্যমে লিকুইডিটি নিতে পারে।
দেশের প্রথম বিজনেস সামিটে বিশ্বের দুই শ’ বড় উদ্যোক্তা, বিনিয়োগকারী ও বিশেষজ্ঞরা অংশ নেবেন। এতে বড় বিনিয়োগ আকর্ষণের পাশাপাশি প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারে বিশেষজ্ঞদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর সুযোগ তৈরি হবে।