চিত্রনায়িকা শিমুকাণ্ডে বেরিয়ে এলো আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য
সাদাকালো নিউজ
বাবা-মাকে নিয়ে একসঙ্গে থাকতেন নায়িকা শিমু। তাঁদের বাসার পাশে ছিল নোবেলের বাসা। ফলে নিয়মিত দেখা হতো। এক সময় তাঁদের মধ্যে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। পরে বাবা-মায়ের অমতে শিমুকে বিয়ে করেন নোবেল। ফলে নোবেলের বাবা-মা আলাদাভাবে থাকতে শুরু করেন। রাজধানীর গ্রিন রোডে স্ত্রী-সন্তানসহ থাকতেন নোবেল।
ঘটনার দিন সকালে নোবেলের বাসায় যান ফরহাদ। এ সময় ফরহাদকে ড্রইংরুমে বসতে দেন শিমু। পরে বেডরুমে বসে মোবাইল দেখছিলেন শিমু। তখন নোবেল গিয়ে সেই মোবাইল দেখতে চান। কিন্তু শিমু দেখাতে অস্বীকৃত জানান। এ নিয়ে তাঁদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। হইচই শুনে ফরহাদ উঠে শিমুর রুমে যান। তখন নোবেল ফরহাদকে বলেন, শিমুকে ধর, ওকে আজ শেষ করে ফেলবো।
পরে ফরহাদ গলা আর নোবেল শিমুর দুই হাত চেপে ধরেন। একপর্যায়ে নিচে পড়ে যান শিমু। পরে নোবেল শিমুর গলার ওপর পা দিয়ে দাঁড়ান। একটাসময় শিমু নিস্তেজ হয়ে পড়েন। এভাবেই পরপারে চলে যান নায়িকা। পরে দুজনে মিলে শিমুর দেহ লুকানোর পরিকল্পনা করতে থাকেন।
একপর্যায়ে শিমুর দেহ বস্তাবন্দি করেন তাঁরা এরপর গাড়িতে করে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার আলীপুর ব্রিজ এলাকার একটি ঝোপে গিয়ে দেহ ফেলে দিয়ে আসেন। ঘটনার পর রাতেই কলাবাগান থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়। সেখানে বলা হয়, ১৬ জানুয়ারি বাসা থেকে বেরিয়ে আর ফেরেননি শিমু। তার মোবাইলও বন্ধ পাওয়া যায়।
পরদিন আলীপুর এলাকার রাস্তার পাশ থেকে শিমুর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর ১৮ জানুয়ারি কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় নোবেল ও তার বন্ধুর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন শিমুর ভাই হারুনুর রশীদ। শিমু সিনেমায় আত্মপ্রকাশ করেছিলেন ১৯৯৮ সালে। ২০০৪ সাল পর্যন্ত নিয়মিত বড় পর্দায় দেখা যায় তাকে। প্রথম সারির পরিচালকদের সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন শিমু। গত কয়েক বছর ধরে তিনি নাটকের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
সাদাকালো নিউজ