আমেরিকা জাহাজের ওপর স্যাংশন দিয়ে বসে আছে: প্রধানমন্ত্রী
সাদাকালো নিউজ
যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি পণ্য পরিবহনের জাহাজের ওপরও নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেছেন, দেশের পাশাপাশি আমেরিকা জাহাজের ওপরও স্যাংশন দিয়ে বসে আছে। এর ফলে প্রত্যেকটা দেশেই মুদ্রাস্ফীতি বেড়েছে।
বুধবার (৭ জুন) ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) আওয়ামী লীগ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
করোনাভাইরাসের পর যখন বিশ্ব অর্থনীতি কিছুটা সুস্থির হচ্ছিল, ঠিক তখনোই শুরু হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। আর এর প্রভাবে সারা বিশ্বে শুরু হয় মুদ্রাস্ফীতি। এমন অবস্থায় ইউক্রেনের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়।
তবে সেই নিষেধাজ্ঞা শেষ পর্যন্ত শুধু দেশের ওপর না থেকে সেটি পরে রাশিয়ার পণ্যবাহী জাহাজেও দেওয়া হয়। ফলে বাংলাদেশ রাশিয়ার পণ্যবাহী অন্তত ৯০টি জাহাজে করে কোনো পণ্য আনতে পারে না।
বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে বিজ্ঞপ্তিও দেয়। এমনকি এসব জাহাজ বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশ করতেও পারেনি।
বাংলাদেশ যখন করোনাভাইরাস সংকট কাটিয়ে উঠে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু করে, তখন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব পড়ে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
একে তিনি বাংলাদেশের অগ্রগতিতে বাধা হিসেবে উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তিনটা বছর চলাচল একেবারে বন্ধ, অর্থনীতি স্থবির, উন্নত দেশগুলোতে মুদ্রাস্ফীতি, পরিচালন ব্যয়, পরিবহন ব্যয় বেড়েছে। এরপর এলো রাশিয়া-উইক্রেন যুদ্ধ। স্যাংশন অ্যান্টি-স্যাংশন—প্রত্যেকটা জিনিসের দাম বেড়ে গেল।’
তিনি বলেন, ‘প্রতিটি জিনিসের দাম এমন বেড়ে গেছে, সেটা কেনা, আনা, পরিবহন করা; আবার এই জাহাজে এলো কেন, সেটা আসতে দেবে না, ভিড়তে দেবে না; ওই জাহাজে এলো কেন, সেটা ভিড়তে দেবে না। খালি দেশের ওপর স্যাংশন না, জাহাজের ওপরও স্যাংশন দিয়ে বসে আছে আমেরিকা। যার ফলে প্রত্যেকটা দেশে আজ মুদ্রাস্ফীতি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আপনারা জানেন যে ইউরোপ, আমেরিকা, লন্ডন সব জায়গায় বিদ্যুৎ ব্যবহার করা যাবে না। শীতের সময় হিটার ব্যবহার করতে পারে না। একটা ঘরে সমস্ত পরিবারকে থাকতে হয়।
‘পানি ব্যবহার করা সীমিত করে দিয়েছে। আমাদের তো এখনও গাড়ি ধোয়, বাগানে পানি দেয়, যথেচ্ছাচার ব্যবহার করে। কিন্তু সেখানে করতে পারবে না।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘বাজারে গেলে তিনটার বেশি টমেটো কিনতে পারবে না। ছয়টার বেশি ডিম কিনতে পারবে না, এক লিটারের বেশি তেল কিনতে পারবে না। সেই অবস্থা বিরাজমান বিশ্বব্যাপী। তারপরও আমরা আমাদের অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখতে পেরেছি।’