আবারো হুমকিতে পড়লেন ব্রাজিলের নতুন প্রেসিডেন্ট !
সাদাকালো নিউজ
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ব্রাজিলের নতুন বামপন্থি প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। নতুন প্রেসিডেন্ট লুলার শপথ নেওয়ার এক সপ্তাহ পর, তার ডানপন্থি পূর্বসূরী জেইর বলসোনারোর হাজার হাজার সমর্থক প্রেসিডেন্ট ভবন, কংগ্রেস ও সুপ্রিম কোর্টে হামলা চালায়। নির্বাচনের ফলাফল মানতে নারাজ ছিল তারা।
দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট লুলা সুদের হার বাড়ানো নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে লড়াই করেছেন। সম্প্রতি জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের সঙ্গে একটি প্রেস কনফারেন্সে, রাশিয়ার ইউক্রেন আগ্রাসন নিয়ে লুলার দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ পেয়েছে।
এখন প্রেসিডেন্ট লুলা আরেকটি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। শোনা যাচ্ছে দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট বলসোনারো মার্চ মাসে ফ্লোরিডার স্বেচ্ছায় নির্বাসন ত্যাগ করে দেশে ফিরবেন।
প্রথমত যদিও ধরে নেওয়া যায় এ নিয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট লুলার উদ্বেগের তেমন কিছু নেই। কেননা বলসোনারোর প্রভাব ম্লান হয়ে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গত জানুয়ারিতে প্রায় ৭৬ শতাংশ ব্রাজিলিয়ান সরকারি ভবনে হামলার বিরোধিতা করেছিলেন। সাবেক প্রেসিডেন্টের অনেক ঘনিষ্ঠও নিজেদের দূরে সরিয়ে রেখেছেন এখন পর্যন্ত।
আইনি জটিলতায় বলসোনারোর বিদেশে থাকার সময় দীর্ঘায়িত হতে পারে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে মিথ্যা প্রচার করা থেকে শুরু করে বিক্ষোভে উসকানি দেওয়ার মতো নানাবিধ অভিযোগে ব্রাজিলে একডজন তদন্ত হচ্ছে তার বিরুদ্ধে। যার প্রায় সবই তিনি অস্বীকার করেছেন। যদি তিনি ব্রাজিলে ফিরে যান, তবে তাকে এসব অভিযোগ ও মামলা মোকাবিলা করতে হবে। অফিসে ফিরতে বাধাও দেওয়া হতে পারে তাকে।
তবে লক্ষ্য করা যায় বলসোনারো ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে উঠছেন। লুলার ওয়ার্কার্স পার্টির শাসনকালে একটি বড় দুর্নীতির কেলেঙ্কারি প্রকাশ পাওয়ার পর প্রতিষ্ঠিত দলগুলোর সঙ্গে অসন্তোষের জেরে বলসোনারো ২০১৮ সালে ক্ষমতায় আসেন। ডানপন্থি সরকার দেশটির তরুণ, নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান, কৃষিখাত ও ব্যবসা, ক্ষুদ্র কৃষক এবং খনি শ্রমিকদের সমর্থন পেয়েছিলেন। এখনো ব্যাপকভাবে সাবেক প্রেসিডেন্টকে সমর্থন করে তারা।
সবচেয়ে বেশি আশ্চর্যজনক বিষয় হলো, তরুণ ব্রাজিলিয়ানদের কাছে আবেদন ধরে রাখতে পেরেছেন তিনি। সম্প্রতি একটি জরিপে, ১৬ থেকে ২৪ বছর বয়সীদের মধ্যে ৫৭ শতাংশ বলেছেন পরের রোববার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে তারা বলসোনারোকে নির্বাচিত করবেন। এই সংখ্যা যে কোনো বয়সের মধ্যে সর্বোচ্চ। অন্য আরেকটি জরিপে দেখা গেছে প্রায় ৪০ শতাংশ ব্রাজিলিয়ান বলেছেন তারা বিশ্বাস করেন না লুলা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। যে দলটি এমন ধারণা পোষণ করে তাদের বয়স ২৫ থেকে ৩৪ বছরের মধ্যে।