আবারো আদালতে যাওয়ায় নিপুনকে এক হাত নিলেন জায়েদ খান
শিল্পী সমিতির নির্বাচন ইস্যুতে অভিনেত্রী নিপুণ আবারো আদালতে যাওয়ায় ক্ষেপেছেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান। নিপুণের আদালতে যাওয়ার বিষয়টিকে কেন্দ্র করে জায়েদ বলেছেন, ওনার আলোচনায় আসা দরকার। উনি আলোচনায় থাকার জন্য এসব করছেন। ওনার কারণে সব শিল্পীরা নিচে নেমে যাচ্ছেন। এ ধরনের নোংরা মনমানসিকতার শিল্পীকে সকল শিল্পী মিলে প্রতিহত করবেন।
নিপুণকে শিল্পী নামের কলঙ্ক বলেও মন্তব্য করেছেন জায়েদ। তিনি বলেন, নতুন কমিটিকে মালা পরিয়ে দিয়ে এখন আবার উল্টো কথা বলেন। এত জঘন্য শিল্পী হতে পারেন না। উনি শিল্পী নামের কলঙ্ক।’
গত ১৯ এপ্রিল এফডিসিতে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বচনে ১৬ ভোটে ডিপজলের কাছে হেরে যান নিপুণ। ফলাফল মেনে নিয়ে বিজয়ীদের গলায় মুলের মালাও পরিয়ে দেন তিনি। তবে মাস না ঘুরলেও মাথা ঘুরে গেছে এই অভিনেত্রীর। কারণ, নির্বাচনের ফল বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেছন নির্বাচনে পরাজিত এই সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী।
চলতি মাসের ১৫ মে বুধবার আদালতে রিট দায়ের করেন নিপুণ। রিটে মিশা-ডিপজলের নেতৃত্বাধীন কমিটির দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞাও চাওয়া হয়েছে। বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটি দায়ের করা হয়। নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ এনে এই ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে রিটে। পাশাপাশি নতুন করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার নির্দেশনাও চেয়েছেন এই অভিনেত্রী।
নিপুণের এই রিটের প্রতিক্রিয়ায় সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে জায়েদ খান বলেন, ‘একজন মানুষ লোভে পড়ে, যোগ্যতাহীনভাবে একটা চেয়ারকে ধরে রাখার জন্য কতটা নিচে নামতে পারেন সেটা উনি দেখিয়ে দিয়েছেন। ফুলের মালা পরিয়ে দিয়ে বলে গেলেন সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে। সব মেনে নিয়ে ওনার এত দিন পরে মনে হলো নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি।’
তিনি বলেন আইন বা রিটের বিষয়ে তো আমি কিছু বলতে পারব না, তবে নতুন কমিটিকে মালা পরিয়ে দিয়ে এখন আবার উল্টো কথা বলেন। এটা দ্বৈতনীতি।’
দুই বছর আগেও শিল্পী সমিতির এই নির্বাচন নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন নিপুণ। সেবার তো শুধু প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জায়েদ খানকে নিয়ে আপত্তি জানান অভিনেত্রী। এবার পুরো শিল্পী সমিতির কমিটির বিরুদ্ধেই আদালতে গেলেন নিপুণ আক্তার। অনিয়মের অভিযোগ তুলে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী