আটা-ময়দায় তৈরি হচ্ছে নামিদামি ব্রান্ডের ওষুধ!
সাদাকালো নিউজ
কুমিল্লার একটি আয়ুর্বেদিক ওষুধ কোম্পানি হিমালয় ল্যাবরেটরিজ। প্রতিষ্ঠানটির তৈরি করার কথা আয়ুর্বেদিক ওষুধ। কিন্তু তাঁরা তৈরি করছিল দেশি-বিদেশি অন্তত নয়টি ব্রান্ডের প্রচলিত ও বহুল ব্যবহৃত ওষুধ। তাও আবার আটা-ময়দা দিয়ে! এসব ওষুধ বিক্রি হচ্ছে সারাদেশের বিভিন্ন ফার্মেসিতে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকার মিডফোর্ড, কুমিল্লার কাপ্তান বাজারে হিমালয় ল্যাবরেটরিজ ও সাভারে প্রতিষ্ঠানটির গোডাউনে অভিযান পরিচালনা করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখার লালবাগ টিম।
এই অভিযানে প্রায় ২২ লাখ পিস ভেজাল ওষুধ জব্দ করা হয়, যা এ যাবতকালে ডিবি পরিচালিত অভিযানে সর্বোচ্চ। এসময় ভেজাল ওষুধ তৈরি, বিপণন ও মজুদের সঙ্গে জড়িত ১০জনকে ধরা হয়।
ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, ইউনানি আর্য়ুবেদিক কোম্পানিগুলো ট্যাবলেট ফরমেটে আসার পর নকল ও ভেজাল ওষুধের প্রবণতা বেড়েছে। যেভাবে ব্রান্ডের ওষুধ নকল ও ভেজাল হচ্ছে তা সামনে করোনার চেয়েও মহামারি আকার ধারণ করবে।
সোমবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিএমপি’র গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান এ কে এম হাফিজ আক্তার।
তিনি বলেন, এসব ওষুধ তাঁরা ফয়েল পেপার দিয়ে সুন্দর করে মোড়কজাত করেছেন। বোঝার কোনো উপায়ই নেই আসল না নকল ওষুধ। এগুলোতে গুণগত মান বলতে কিছু থাকে না। আটা বা ময়দার সঙ্গে ক্যামিকেল মিশিয়ে তৈরি এসব নকল ওষুধ প্যাকেজিং করে ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে ঢাকাসহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে।