অভিমান নাকি ব্যর্থতা, কেন টি-টোয়েন্টি ছাড়লেন মুশফিক?
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছোট্ট একটা পোস্ট। যেখানে মিলেছে সব প্রশ্নের জবাব। সব আলোচনার টানা হয়ে গেছে দাড়ি। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে মুশফিকুর রহিম এখন সাবেক ক্রিকেটার।
যদিও অনেকদিন ধরেই বাংলাদেশের ক্রিকেট মহলে আলোচনা চলছিলো, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে মুশফিকুর রহিমের ভবিষ্যৎ কী? এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বের দুটি ম্যাচ ব্যাট হাতে ব্যর্থ হওয়ার পর সব আলোচনার ইতি টানলেন মুশফিক। অবসরের ঘোষণা দিলেন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে।
নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে এক পোস্টের মাধ্যমে এমন সিদ্ধান্তের কথা জানান টাইগারদের এই উইকেটকিপার। এর ফলে ক্রিকেটের সর্টার ফরম্যাটে এক দশকেরও বেশি ক্যারিয়ারের ইতি টানলেন মুশফিক। অভিজ্ঞদের মধ্যে গত জুলাইয়ে তামিম ইকবাল এই ফরম্যাটকে বিদায় বলেছেন। টানা ব্যর্থতায় তার পদাঙ্ক অনুসরণ করলেন মুশফিকও।
এশিয়া কাপে গ্রুপ পর্বের দুটি ম্যাচেই হার দেখেছে বাংলাদেশ দল। প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঝাঁজ তুলতে না পারলেও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়ের প্রায় কাছেই পৌঁছে গিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত হেরেছে নিজেদের ভুলে!
৩৫ বছর বয়সী মুশফিক নিজেও নিজের ছায়া হয়ে ছিলেন মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের এই টুর্নামেন্টে। এক ম্যাচে ১ রান করেছেন তো আরেক ম্যাচে ৪! তাছাড়া লঙ্কানদের বিপক্ষে বাঁচা-মরার ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে কুশল মেন্ডিসের ক্যাচও ছেড়েছেন।
এখানেই শেষ দীর্ঘদিন ধরে কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে রান পাচ্ছিলেন না মুশফিক। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর টি-টোয়েন্টি দল থেকে বাদও পড়েছিলেন। তারপরও অভিজ্ঞতার কারণে দলে টিকে ছিলেন এতদিন। কিন্তু কোনও সুযোগই ঠিকঠাক কাজে লাগাতে পারেননি তিনি।
২০০৬ সালে বাংলাদেশের প্রথম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি দলের সদস্য মুশফিক বিদায়ের আগে খেলেছেন ১০২টি ম্যাচ। যা বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ২০২১ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাদ পড়ার পর মিরপুরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে কেবল একটি ম্যাচে মাঠে নেমেছিলেন মুশফিক। ওই ম্যাচে করেছিলেন ৩০ রান। এরপর এশিয়া কাপে দুই ম্যাচেই ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন।
সাদাকালো নিউজ