অভিনেত্রী শিমুর স্বামী কে এই সাখাওয়াত আলী নোবেল?
নাফিজা আক্তার
চলচ্চিত্র ও টিভি নাটকের অভিনয়শিল্পী রাইমা ইসলাম শিমুকে শেষ করে দেয়ার ঘটনায় তার স্বামী সাখাওয়াত আলী নোবেলকে দুষছেন শিমুর বড়ভাই শহীদুল ইসলাম খোকন। তাঁর দাবি, ‘আমার বোনের স্বামী অ্যাডিক্টেড। এ নিয়ে তাদের সংসারে ঝগড়া-ঝাটি লেগেই থাকতো।’
স্বামী ও দুই সন্তানকে নিয়ে রাজধানীর গ্রিনরোড এলাকার একটি বাসায় থাকতেন ৪০ বছর বয়সী শিমু। কলাবাগান থানায় করা জিডিতে তার স্বামী নোবেল বলেছিলেন, মাওয়ায় শুটিংয়ের কথা বলে রোববার সকালে বাসা থেকে বেরিয়ে আর ফেরেননি তার স্ত্রী।
রোববার রাতেই কলাবাগান থানায় রাতে সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন নোবেল। পরে সোমবার দুপুরে কেরানীগঞ্জের হজরতপুর ব্রিজের কাছে আলিয়াপুর এলাকা থেকে দুটি বস্তায় এক নারীর খণ্ডিত দেহ পাওয়া যায়। রাতে মর্গে গিয়ে সেই দেহটি শিমুর বলে শনাক্ত করেন বড় ভাই খোকন।
এ ঘটনায় সোমবার রাতেই নোবেলসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন খোকন। পরে পুলিশ নোবেল ও তার বন্ধু ফরহাদকে ধরে নিয়ে যায়।
মধ্যরাতে এক সংবাদ সম্মেলনে শিমুর ভাই খোকন বলেন, ‘নোবেলের গাড়ির ভেতর লাল দাগ দেখতে পেয়েছি। সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত সে বাসায় ছিল না; সেই সময়ের মধ্যেই সে অপকাণ্ডটি ঘটিয়েছে।’
খোকন এও দাবি করেন যে, বাসার ভেতরেই তার বোনকে শেষ করেছে নোবেল, পরে দেহটি সরিয়ে নেয়া হয়েছে নোবেলের গাড়িতে করেই। ওই গাড়িও পুলিশ জব্দ করেছে। এছাড়াও, আমার বোন যে কাপড় পরে ছিল, সেটা পরে কোনোদিন সে বের হয় নাই।’
১৯৯৮ সালে কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘বর্তমান’ সিনেমা দিয়ে চলচ্চিত্রে পা রাখেন শিমু। ২০০০৪ সাল পর্যন্ত অভিনয় করেন ২০টিরও বেশি সিনেমায়। এসময় তিনি দেলোয়ার জাহান ঝন্টু, চাষি নজরুল ইসলাম, শরিফ উদ্দিন খান দিপুসহ আরও বেশ কিছু পরিচালকের ছবিতে অভিনয় করেন। প্রয়াত নায়ক মান্না, চিত্রনায়ক রিয়াজ, শাকিব খান ও অমিত হাসানসহ কয়েকজন তারকার সঙ্গেও কাজ করেছেন শিমু।
২০০৩ সালে মুক্তি পাওয়া ‘জামাই শ্বশুর’ সিনেমায় চিত্রনায়িকা পূর্ণিমার বড় বোনের চরিত্রে অভিনয় করে ভক্তদের মাঝে ব্যাপক পরিচিতি পান শিমু। ওই সিনেমায় শিমুর বিপরীতে অভিনয় করেন নায়ক অমিত হাসান।
সিনেমার পাশাপাশি সম্প্রতি ধারাবাহিক নাটক ‘ফ্যামিলি ক্রাইসিস’-এ অভিনয় করে এই প্রজন্মের দর্শকদের কাছেও বেশ ভালো পরিচিতি পেয়েছিলেন শিমু।
শিমুর ফেইসবুকের তথ্য বলছে, একটি বাণিজ্য বিষয়ক সাময়িকী এবং একটি বেসরকারি টেলিভিশনের বিপণন বিভাগে কাজ করার পাশাপাশি একটি প্রযোজনা সংস্থাও চালাতেন এই অভিনেত্রী।