অবশেষে মুখ খুললেন ফেরারি আরাভ খান!
সাদাকালো নিউজ
তারকা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের আরাভ জুয়েলার্স উদ্বোধনের পর থেকেই আলোচনায় আছেন জুয়েলার্সটির মালিক আরাভ খান ওরফে রবিউল ইসলাম। দুবাইয়ের এই স্বর্ণ ব্যবসায়ী পুলিশ মারার আসামি। তবে আরাভ খান দাবি করেছেন, তিনি পুলিশ মারার ঘটনার সঙ্গে জড়িত না।
বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে নিজের ফেসবুক পেজ থেকে লাইভে আসেন আরাভ খান। এসময় তিনি দাবি করেন, আমি পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নই। ওই দিন আমি ছিলাম না। তবে আমার বিরুদ্ধে একটি মোকদ্দমা চলমান রয়েছে। সেটি মিথ্যা নয়।
আরাভ খান বলেন, দেশের বাহিরে আসার সময় কোনো পুলিশ সদস্য আমাকে সহায়তা করেননি। আমি একজন ব্যবসায়ী। আমার সঙ্গে সবার সম্পর্ক থাকবে এটাই স্বাভাবিক।
আরাভ খান দাবি করেন, ২০১৮ সালে বনানীতে আমার অফিস ছিল। আপন বিল্ডার্স নামে আমার রিয়েল এস্টেটের ব্যবসা ছিল। আমি সেদিন বাসায় ছিলাম। আমার সহকারী অফিসে একজনের প্রয়াণের বিষয়টি ফোনে জানায়। যেহেতু অফিসটি আমার তাই আমার বিরুদ্ধেই মোকদ্দমা হয়েছে। আমি এটা মোকাবেলা করতে রাজি আছি।
আরাভ খান দাবি করেন সেদিনের ঘটনাটি নিছক দুর্ঘটনা মাত্র। সেদিন জন্মদিনের অনুষ্ঠান ছিলো। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ওই ঘটনা ঘটে।
তিনি আরও দাবি করেন, আমার আমেরিকান গ্রিন কার্ড আছে। কানাডিয়ান পাসপোর্ট আছে। কই আমি তো চলে যাইনি। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকলে পালিয়ে যেতাম।
দুবাইয়ের এই স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরও বলেন, ডিসকাউন্টে গ্রাহকদের কাছে স্বর্ণ পৌঁছে দেব— এমন ঘোষণা দেয়াতেই আমার কাল হয়েছে। দুবাইয়ের স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের একটি বড় অংশ আমার বিপরীতে রয়েছে। তারাই এই কাজটি করেছে।
ফেসবুক লাইভে আরাভ খান আরও বলেন, আমার বিরুদ্ধে মোকদ্দমা হয়েছে। আমি অপরাধী কিনা সেটা যাচাই করবে আদালত। মোকদ্দমা চলমান রয়েছে, রায়ের জন্য অপেক্ষা করুন। আমি যদি অপরাধী হই, বিচারে যদি দোষী হই—সেই সাজা মাথা পেতে নেব।
আরাভ খান বলেন, এত কিছুর পরেও আমার দোকানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনেক ভালোভাবে সম্পন্ন হয়েছে। আরাভ খানের ভাষ্য, তিনি খুব তাড়াতাড়ি আমেরিকায় একটি শো-রুম উদ্বোধন করবেন এবং বাংলাদেশের ৬৪টি জেলায় একটি করে মসজিদ নির্মাণ করবেন।
পুলিশের তথ্য বলছে, ২০১৮ সালে পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক মামুন ইমরান খানের প্রাণ কেড়ে নেয় দুর্বৃত্তরা। সেই ঘটনায় চার্জশিটভুক্ত ৬ নম্বর অভিযুক্ত রবিউল। পরবর্তীতে ভারতে পালিয়ে গিয়ে সেখানকার পাসপোর্ট নিয়ে নাম বদলে দুবাইয়ে গিয়ে ব্যবসা শুরু করেন তিনি। অন্যদিকে এই রবিউলের ভাড়া করা এক ব্যক্তি আত্মসমর্পণ করে ৯ মাস হাজত খেটে বের হন।
২০২১ সালের ৩১ অক্টোবর আরব আমিরাত সরকার রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানকে রেসিডেন্ট পারমিট দেয়। এরপর থেকে সেখানেই আছেন রবিউল। ব্যবসা করছেন জুয়েলারির। মাত্র দুই বছরের ব্যবধানে আরাভ খান এখন দুবাইয়ের বিত্তশালী।
কিভাবে এতো তাড়াতাড়ি বিত্তশালী হলেন রবিউল ওরফে আরাভ খান তা নিয়ে এখন দুবাইয়ের বাংলাদেশি কমিউনিটিতে চলছে তোলপাড়। একিসঙ্গে আশ্চর্য হয়েছেন দেশের গোয়েন্দা কর্মকর্তারাও।