অবশেষে মুক্ত হচ্ছেন ক্যাসিনো সম্রাট
রাকিবুল ইসলাম
ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট। রাজধানীতে ক্লাব ব্যবসার আড়ালে ক্যাসিনো ব্যবসার পরিচালনার কারণে ক্যাসিনো সম্রাট হিসেবে এই নামটি একটি সুপরিচিত নাম। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতিও ছিলেন তিনি। তবে এখন বহিষ্কৃত।
আজ বুধবার সব আইনি জটিলতা থেকে মুক্তি পেয়েছেন এই সম্রাট। এখন তাঁর মুক্তিতে কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবী। তবে এ কারণে বিদেশ না যাওয়াসহ বেশকিছু শর্ত মানতে হবে সম্রাটকে।
সম্রাটের জন্ম ফেনীর পরশুরামে। তাঁর বাবা ফয়েজ আহমেদ ছিলেন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী। বাড়ি পরশুরামে হলেও সেখানে তাঁদের পরিবারের কেউ থাকেন না। বাবার চাকরির সুবাদে ঢাকায় বড় হন সম্রাট।
সম্রাটের বড় ভাই বাদল চৌধুরী ঢাকায় তাঁর ক্যাসিনো ব্যবসা দেখাশোনা করতেন। ছোট ভাই রাশেদও রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। সম্রাট থাকতেন রাজধানীর মহাখালীতে। সম্রাটের স্ত্রীর নাম শারমিন চৌধুরী। শারমিনের আগে আরেকটি বিয়ে করেছিলেন তিনি। সে ঘরে একটি কন্যাসন্তান রয়েছে।
৯০ দশকে রাজনীতিতে জড়ান সম্রাট। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ঢাকায় দলীয় সমাবেশগুলো সফল করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতেন তিনি।
রাজধানীর জুয়াড়িদের কাছে ‘ক্যাসিনো সম্রাট’বেশ পরিচিত নাম। সম্রাট একজন পেশাদার জুয়াড়ি। প্রতি মাসে অন্তত ১০ দিন সিঙ্গাপুরে যেতেন জুয়া খেলতে। সেখানে নাকি টাকার বস্তা সঙ্গে নিয়ে যেতেন তিনি।