নিপুন নয়, জায়েদই সাধারণ সম্পাদক: হাইকোর্ট
নাফিজা আক্তার
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে নানা নাটকীয়তার পর অবশেষে খুললো জট। রোববার সুপ্রিমকোর্টের চেম্বার আদালত শুনানি শেষে ওই পদে চিত্রনায়ক জায়েদ খানকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করে চূড়ান্ত রায় দেন। ফলে টানা তৃতীয়বারের মতো শিল্পী সমিতির চেয়ারে জায়েদ খান। ২০২৪ সালের ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত এই পদে দায়িত্ব পালন করবেন তিনি।
আদালতে নিপুণের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী রোকন উদ্দিন মাহমুদ। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান খান। অন্যদিকে জায়েদ খানের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ূন, আহসানুল করিম, নাহিদ সুলতানা ও মজিবুল হক ভূঁইয়া। উল্লেখ্য চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন প্রায় দুই সপ্তাহ আগে সম্পন্ন হয়। কিন্তু ফল নিয়ে ঝামেলা গড়ায় উচ্চ আদালত পর্যন্ত।
২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ১৭৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন চিত্রনায়ক জায়েদ খান। নিপুন আক্তার পান ১৬৩ ভোট। এরপর টানা দুইবারের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানের বিরুদ্ধে টাকা দিয়ে ভোট কেনাসহ একাধিক অভিযোগ আনেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নিপুন।
পরে নির্বাচনি আপিল বোর্ডে জায়েদ খান ও কার্যকরী পরিষদের সদস্য চুন্নুর পদ বাতিলের আবেদনও করেন নিপুন। ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে করণীয় জানতে আবেদন করেন আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান।
এক পর্যায়ে ২ ফেব্রুয়ারি সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক চিঠিতে আপিল বোর্ডকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার নির্দেশনা দেয়। পরে ৫ ফেব্রুয়ারি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান অর্থের বিনিময়ে ভোট কেনার দায়ে বিজয়ী প্রার্থী জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করেন। একই সঙ্গে নিপুণকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা দেন।
এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন জায়েদ খান। ৭ ফেব্রুয়ারি আপিল বোর্ডের দেওয়া সিদ্ধান্ত স্থগিত করে আদেশ দেন হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করেন নিপুণ। ৯ ফেব্রুয়ারি শুনানি শেষে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্থিতাবস্থা জারি করেন চেম্বার আদালত।