ভিনিসিয়ুসের পঞ্চম হলুদ কার্ড
সাদাকালো নিউজ
গত রাতে রিয়ালকে যেন খুঁজেই পাওয়া যায়নি। পুরো ম্যাচে লক্ষ্যে শট নিতে পেরেছে শুধু একটি। সেটাও আসেনসিওর নেওয়া পেনাল্টি শট, যেটা রুখে দেন প্রতিপক্ষ মায়োর্কার গোলরক্ষক প্রেদরাগ রাইকোভিচ। ঘরের মাঠে মায়োর্কা যে গোলটা পেয়েছে, সেটাও রিয়ালেরই দেওয়া ‘উপহার’। ১৩ মিনিটে নিজেদের জালে বল জড়িয়েছেন নাচো।
ম্যাচে দশবার ফাউলের শিকার হয়েছেন ভিনিসিয়ুস কার্লো আনচেলত্তির দলের বিপদ আরও বাড়িয়েছে শিষ্যদের একের পর এক হলুদ কার্ড। ম্যাচে হলুদ কার্ড দেখেছেন রিয়ালের পাঁচ খেলোয়াড়। তাঁদের একজন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র।
স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে না পেরে সম্প্রতি প্রায়ই মেজাজ হারাচ্ছেন ভিনিসিয়ুস। প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডাররাও তাঁকে ট্যাকল করে রাগিয়ে দিচ্ছেন। এবারের লিগে এখন পর্যন্ত পাঁচটি হলুদ কার্ড দেখেছেন ভিনি। গত রাতে রেফারির সতর্কবার্তা পেয়েছেন অনেকটা প্রতিপক্ষের মাধ্যমে প্ররোচিত হয়ে। এই হলুদ কার্ড দেখার মাশুলও গুনতে হচ্ছে তাঁকে। ১৫ ফেব্রুয়ারি এলচের বিপক্ষে রিয়ালের পরের লিগ ম্যাচ খেলতে পারবেন না ব্রাজিলিয়ান তারকা। তবে ক্লাব বিশ্বকাপ খেলতে বাধা নেই।
মায়োর্কার মেক্সিকান কোচ হাভিয়ের আগুইরের পরিকল্পনা কাল যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করেছেন দুই ডিফেন্ডার মাফেও এবং আন্তোনিও রিয়ায়ো। রিয়াল সেট পিসে যেসব জায়গা থেকে শট নিয়েছে, সেখানেই দেখা গেছে তাঁদের। নিজেদের রক্ষণ দুর্গে রিয়াল খেলোয়াড়দের বল নিয়ে ঢুকে পড়ার অপেক্ষায় ছিলেন দুজন। রিয়াল খেলোয়াড়রা আসতেই তাঁদের রুখে দিয়েছেন মাফেও ও রিয়ায়ো। ভিনিসিয়ুসও এই ফাঁদে পা দিয়েছেন।
প্রিয় শিষ্য বারবার ফাউলের শিকার হওয়ায় আনচেলত্তিকেও উত্তেজিত হতে দেখা যায়। ম্যাচপরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এ নিয়ে রিয়াল কোচ বলেছেন, ‘যা কিছু ঘটেছে, তাতে ভিনিসিয়ুসের ভুল দেখি না। সে ফুটবল খেলতেই নেমেছিল, কিন্তু প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়রা তাকে প্ররোচিত করেছে, ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়েছে। এর সমাধান পেতে চাইলে আমাদের মনোভাব বদলাতে হবে। আজকের (গত রাতের) ম্যাচে কী কী ঘটেছে, সেগুলোও চিহ্নিত করতে হবে।’