ভাইরাল ‘ময়ে ময়ে’ গান কেন এত আলোচনা?
সাদাকালো নিউজ
সম্পতি একটি গানের অংশবিশেষ ‘ময়ে ময়ে’ ছড়িয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সপ্তাহখানেকের ব্যবধানে তা হাওয়ার বেগে ফেসবুক রিলস, ইউটিউব, ফেকবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এখনো বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষই জানেন না এর অর্থ কী?
স্বভাবতই প্রশ্ন জাগে, কোথা থেকে এই ‘ময়ে ময়ে’ গান এল, এবং কেন এটা টিকটক ও ফেসবুকে ট্রেন্ডিং? টিকটক থেকেই এর সূত্রপাত। একটি গানের অংশবিশেষ ‘ময়ে ময়ে’ টিকটকে ছড়িয়ে পড়ার পর এটি নিয়ে ভিডিও বানানোর হিড়িক পড়ে যায়। এক সপ্তাহের মধ্যে এটি ফেসবুক রিল ও ইউটিউব শর্টেও জনপ্রিয়তা পায়।
‘ময়ে ময়ে’ লেখা হলেও এর উচ্চারণ ‘ময়ে ময়ে’। এই গানের আকর্ষণীয় সুর ও বারবার ‘ময়ে ময়ে’ বা ‘ময়ে ময়ে’র পুনরাবৃত্তি সবার মনোযোগ কেড়ে নিতে পেরেছে। কেউ কেউ বিষয়টি উপভোগ করলেও, অন্যেরা এটাকে নিয়ে মজা করতেও ছাড়ছেন না। বেশ কয়েকদিন ধরেই ফেসবুকে এটি ট্রেন্ডিং বিষয় হিসেবে বিবেচিত।
সার্বীয় ভাষায় ‘ময়ে’ শব্দের অর্থ দুঃস্বপ্ন। এই গানের কথা ও সুরে বিষাদ ছড়ানো আছে। গানে না পাওয়ার যন্ত্রণা আছে। শিল্পী গানে বলছেন, তাকে দিনের পর দিন দুঃস্বপ্ন (ময়ে) তাড়া করে বেড়ায়। এই দুঃস্বপ্ন তার হতাশা ও বিচ্ছিন্নতাকে আরও বাড়িয়ে দেয়। দুঃস্বপ্নের ঘোরে নিজেকে ফেলনা মনে করেন। এর মাঝেও খড়কুটো ধরে বাঁচতে চান। তিনি চান, কেউ তার পাশে এসে দাঁড়াক। তাকে কেউ বুঝুক, মাথায় হাত বুলিয়ে সান্ত্বনা দিক।
দেশের মানুষ ‘ময়ে ময়ে’ শব্দাংশের অর্থ না বুঝলেও বাংলাদেশ ও ভারতসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশের সংগীতজ্ঞরা এই মোহনীয় সুরের মায়াজালে আটকা পড়েছেন। মূল গানটির নাম ‘ড্যানাম’। এর দৈর্ঘ্য ২ মিনিট ৫৪ সেকেন্ড।
এই ভাইরাল গানটি গেয়েছেন সার্বিয়ার গায়িকা ও সুরকার তেয়া দোরা। গানের ভিডিওতেও তাকে দেখা যায়। গানের কথাগুলো যৌথভাবে লিখেছেন তেয়া দোরা ও সার্বীয় র্যাপার স্লোবোদান ভেলকোভিক কোবি। অপরদিকে এতে সুর দিয়েছেন লোকা জোভানোভিক।
গানটি সার্বিয়ার সংগীত প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান রেইম ও জুনির ভেতারের ব্যানারে গত ২২ মার্চ ইউটিউব ও স্পটিফাইতে রিলিজ দেওয়া হয়। আজ বুধবার দুপুর পর্যন্ত জুনির ভেতারের ইউটিউব চ্যানেলে এটি প্রায় ৪ কোটি ৭০ লাখ ভিউ পেয়েছে।
রিলিজের ৬ মাসেরও বেশি সময় পর এ সপ্তাহে টিকটকে ভাইরাল হওয়ার পর হুহু করে বাড়ছে এই গানের ভিউ। এ ছাড়া গান শোনার স্ট্রিমিং অ্যাপ স্পটিফাইতেও সাড়ে ৭ কোটি বার শোনা হয়েছে এই গানটি।