পুলিশ কর্মকর্তা লাবণীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার
সাদাকালো নিউজ
ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলেন বেড়াতে। পরে সেখান থেকে যান নানার বাড়িতে। সেখানেই অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার লাবণী আক্তারের নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে ঠিক কি কারণে তিনি না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন তা নিশ্চিত হওয়া যায় নি। কেউ কি তাঁকে শেষ করে দিয়েছে, নাকি নিজেই নিজেকে শেষ করে দিয়েছেন সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশও।
পুলিশের সূত্র দিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যম বলছে, ২০ জুলাই মাগুড়ার শ্রীপুর উপজেলার সারঙ্গদিয়া গ্রামে নানার বাড়িতে এডিসি লাবণীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওইদিন রাতের কোনো এক সময় এ ঘটনা ঘটে। সকালে দরজা ভেঙে পরিবারের সদস্যরা প্রথম তাঁকে এমন অবস্থায় দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। পরে লাবণীর দেহ মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতাল নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা জানান তিনি আর নেই।
জানা গেছে, মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার নাকোল ইউনিয়নের বরালিদহ গ্রামের শফিকুল আজমের মেয়ে লাবণী আক্তার। তিনি খুলনা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনি ৩০তম বিসিএসে সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে চাকরিতে যোগদান করেন।
লাবণীর শ্বশুর বাড়ি ফরিদপুর শহরে। তাঁর স্বামী তারেক বাংলাদেশ আব্দুল্লাহ ব্যাংকের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর হিসেবে কর্মরত। তিনি ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে ভারতে চিকিৎসাধীন। ১০ বছর আগে পারিবারিক ভাবে তাঁদের বিয়ে হয়। তাঁদের দুটি মেয়ে সন্তান রয়েছে।