নুরুল হকের নতুন দলে কী থাকছে?
জহুরা প্রিতু
ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক। এই মাসেই সামনে আনছেন তাঁর নতুন রাজনৈতিক দল। তবে দলের নাম চূড়ান্ত হয়নি এখনো।
সূত্র বলছে নতুন দলের নাম হতে পারে ‘গণ অধিকার পরিষদ’। ‘বাংলাদেশ অধিকার পার্টি’নামটিও আছে সম্ভাব্য তালিকায়। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এককভাবে অংশ নিতে চায় দলটি।
ভিপি নুরুল হকের দল বলা হলেও, এতে দলীয় প্রধান করার চেষ্টা করা হচ্ছে, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে।
তবে নতুন দলের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ গ্রহণযোগ্য কোন ব্যক্তিকে দলের সামনে রাখা। এখন পর্যন্ত যে তথ্য, তাতে দলীয় প্রধান হতে রাজি হননি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
বিষয়টি মাথা ব্যথার কারণ নতুন দলের সংগঠকদের। তাঁরা প্রাণপণ চেষ্টা করছেন জ্যেষ্ঠ নাগরিকদের কাউকে দলের দায়িত্ব দিতে। আলোচনা চালাচ্ছেন একাধিকজনের সঙ্গে।
তবে, নতুন দলটিও হাটছে আওয়ামী লীগ, বিএনপি বা জাতীয় পার্টির পথেই। তাদের পরিকল্পনা, দলের সভাপতি বা চেয়ারম্যান অন্য কেউ হলেও, মূল ক্ষমতা থাকবে নুরুল হকের হাতে।
নতুন দলের চিন্তা ও পরিকল্পনাতে থাকবে নরুল হকের প্রাধান্য। দল হবে তারুণ্য নির্ভর। তবে সেখানে থাকবে সব শ্রেণি–পেশার মানুষের অংশগ্রহণ।
দলটির নেতা কর্মী বাছাই কাঠামো অনেকটা বিএনপির আদলে। তারা চাচ্ছেন, অবসরপ্রাপ্ত সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তা, শিক্ষাবিদ ও বিভিন্ন রাজনীতিক ও অরাজনৈতিক সংগঠনকে দলে ভেড়াতে। একই কাজ করেছিল বিএনপিও।
নতুন দলের মাঠপর্যায়ের কমিটিতে থাকবে অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ এবং তরুণদের সমন্বয়। অভিজ্ঞদের দেয়া হবে সভাপতি পদ, সাধারণ সম্পাদক পদ পাবেন তরুণরা।
নতুন দলের ঘোষণা আসবে দ্রুতই। এরপর দ্রুত সময়ের মধ্যেই সারা দেশের মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কমিটি গঠন করা হবে। সবশেষে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করা হবে নির্বাচন কমিশনে।
তিন বছর আগেও অচেনা ছিলেন নুরুল হক। ২০১৮ সালে প্রথম আলোচনায় আসেন তিনি। সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের আন্দোলনের নেতৃত্ব দেয় বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। সংগঠনটির অন্যতম যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক। ওই আন্দোলনের সময় বেশ কয়েকবার হামলার মুখে পড়েন তিনি।
২০১৯ সালের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ- ডাকসু নির্বাচনে সহসভাপতি নির্বাচিত হন নুরুল হক। এরপর থেকেই তিনি ভিপি নুর হিসাবে পরিচিতি পান।