৬৫ বছরে ফের বিয়ের পিঁড়িতে এমপি বাবু
রাকিবুল ইসলাম
হবিগঞ্জ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এমএ মুনিম চৌধুরী বাবু। বাবু এমপি নামে পরিচিত এই ব্যক্তির বয়স ৬৫। তিনি একাধারে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান এবং হবিগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক।
এই রাজনীতিক এবার আলোচনায় এসেছেন বিয়ের পিঁড়িতে বসে। এটি তাঁর দ্বিতীয় বিয়ে। স্ত্রী-সন্তানরা যুক্তরাজ্য থেকে দেশে না আসায় নিঃসঙ্গতা থেকে মুক্তি নিতে, এ বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। পাত্রী কলেজছাত্রী তানিয়া আক্তার।
১৫ মে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি রহমান কমিউনিটি সেন্টারে এমপি বাবুর দ্বিতীয় বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।
ষাট পেরিয়ে এমপি বাবুর বিয়ের পিঁড়িতে বসা নিয়ে এরই মধ্যে তোলপাড় হচ্ছে। ছবি ভাইরাল, ফেসবুকে চলছে রসালো আলোচনা-সমালোচনা। এমনকি অনেকে মজা করে টিকটকে ভিডিও ছাড়ছেন।
এমপি বাবু স্থায়ীভাবেই দেশে বসবাস করতে চাইলেও, তাঁর স্ত্রী সন্তানেরা যুক্তরাজ্য ছেড়ে দেশে আসতে চান না। গত কয়েক বছরে একবারের জন্যও দেশে আসেননি তারা।
এম এ মুনিম চৌধুরী বাবুর প্রথম স্ত্রীর ঘরে রয়েছে ১ পুত্র ও ১ কন্যা সন্তান। তাদের দুজনই বিয়ে করে সংসার করছেন যুক্তরাজ্যে।
এদিকে, ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন পেয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় হবিগঞ্জ-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এম এ মুনিম চৌধুরী বাবু। তিনি সংসদ সদস্য হওয়ার পরও স্ত্রী, সন্তানরা একবারের জন্যও দেশে আসেননি।
এ অবস্থায় এমপি বাবুর সঙ্গে পরিচয় হয় একই উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের সাতাইহাল মোকামপাড়া গ্রামের কনা মিয়ার মেয়ে তানিয়া আক্তারের সঙ্গে। তানিয়া তখন কলেজছাত্রী। এরপর তানিয়া আর বাবুর একে অপরকে ভালো লাগা, ভাব বিনিময়। কয়েক বছরের পরিচয়কে পরিণয় দিতে পারিবারিকভাবে হয় তাদের বিয়ের আয়োজন।
বিয়ের দিন নিজ গ্রাম কুর্শি থেকে এমপি বাবু বিশাল গাড়িবহর নিয়ে হাজির হন বিয়ের অনুষ্ঠানে। এসময় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও আত্মীয়-স্বজনেরাও উপস্থিত ছিলেন। পরে বিয়ের অনুষ্ঠানিকতা শেষে, কনে তানিয়া আক্তারকে নিয়ে ঘরে ফেরেন এম এ মুনিম চৌধুরী বাবু।