নানা শামসুল হক; পরীমনির একমাত্র কাছের মানুষ!
ওবায়দুল শেখ
আলোচনা সমালোচনায় ঢাকাই সিনেমার নায়িকা পরীমনি। দেশ-বিদেশে অনেকই চেনেন-জানেন এই নায়িকাকে। একসময় তার প্রশংসা করেছেন অনেকে। এখন আবার সমালোচনাও করছেন। অথচ একজন মানুষ সবসময়ই পরীমনির পাশে ছিলেন। তখন তারকা হয়ে ওঠেননি পরীমনি । নাম সামসুন্নাহার স্মৃতি। অল্প বয়সেই হারিয়েছেন নিজের বাবা-মাকে। তখন তার মাথার ওপর বটের ছায়া হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন তার নানা শামসুল হক।
২০১৪ থেকে ২০২১ এই সাত বছরে অনেক পাল্টে গেছেন স্মৃতি নামের সেই মেয়েটি। রাতারাতি তারকা বনে গেছেন পরীমনি। উঠেছেন খ্যাতির শীর্ষে। আবার ডুবেছেন সমালোচনায়। অনেকেই তার সাথে ছিলেন। এখন সরে গেছেন অনেকে। কিন্তু একটা মানুষ আজও পরীমনির সাথে। তিনি আর কেউ নন পরীমনির শরবর্ষী নানা শামসুল হক।
নায়িকা পরীমণিকে (নাতনি) দেখতে আদালতে পর্যন্ত হাজির হয়েছিলেন নানা শামসুল হক। ১০ আগস্ট দুপুর ১২টার দিকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণে দেখা যায় তাকে।
এসময় শামসুল হকের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে সঙ্গে থাকা ব্যক্তিরা জানান, তিনি কোনও কথা বলবেন না। তাদের একজন দাবি করেন, শামসুল হকের বয়স ১১০ বছর। এই প্রথম তার পরিবারের কোনও সদস্য আদালত প্রাঙ্গণে আসলেন।
এর কিছুক্ষণ পরেই পরীমণিসহ ৪ জনের রিমান্ড শেষে আদালতের নিয়ে আসা হয়। অনেককে বলতে শোনা যায়। মানুষের আসল বন্ধু অর্থ সম্পদ নয়। প্রিয় কিছু মানুষ- জীবনে খুবই দরকার। যারা কখনোই তার প্রিয় মানুষকে ছেড়ে যান না। হোক তা ভালো সময়ের সর্বোচ্চ পর্যায়ে কিংবা বিপদের সময়।