নতুন আফগানিস্তান নিয়ে রাশিয়ার দুশ্চিন্তা কেন?
সাদাকালো নিউজ ডেস্ক
দীর্ঘ ২০ বছর পর আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে তালেবান বাহিনী। আফগানিস্তানের ক্ষমতায় তালেবান ফিরে আসার পর দেশটির ভবিষ্যৎ নিয়ে যেমন শঙ্কা আছে; তেমনি শঙ্কিত বিশ্ব মোড়লেরাও।
আফগানিস্তানের নতুন পরিস্থিতিতে সেখান থেকে কূটনীতিকদের সরিয়ে নিচ্ছে বিশ্বের বেশির ভাগ দেশ। তবে,এখনই সে পথে হাটছে না মস্কো। দেশটি বলছে, কাবুল থেকে তাদের কূটনীতিকদের সরিয়ে আনার কোন পরিকল্পনা তাদের নেই।
বিবিসির মস্কো সংবাদদাতা বলেছেন, আফগানিস্তানের নতুন পরিস্থিতি রুশ গণমাধ্যমের প্রধান শিরোনাম। তবে সেখানে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে রাশিয়া এবং মধ্য এশিয়ার দেশগুলোতে এর কী প্রভাব পড়তে পারে, সেই বিষয়টি।
রাশিয়ার পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষের ডেপুটি স্পীকার কনস্টান্টিন কোশাচেভ বলেছেন, আফগানিস্তানে উগ্রপন্থার উত্থান হচ্ছে।ইসলামিক স্টেট তালেবানের সঙ্গে কোন সমঝোতায় পৌঁছাক বা না পৌঁছাক, রাশিয়া এবং তার মিত্রদের জন্য যে ঝুঁকি বাড়বে, সেটা মোটেই উড়িয়ে দেয়া যায় না।
আরেকটি রুশ সংবাদপত্র কোমারসান্ট বলছে, কাবুলের পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ হলেও সেখানে রুশ দূতাবাস দেখে বেশ শান্ত বলেই মনে হচ্ছে। দূতাবাস বলছে, অন্যান্য পশ্চিমা দেশের মতো তারা তাদের কূটনীতিক এবং কর্মীদের উদ্ধার করে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে যাওয়ার কোন প্রয়োজন দেখছে না। তালেবানের সঙ্গে রুশ দূতাবাস যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে, এমন ইঙ্গিত আছে রুশ গণমাধ্যমে।
একজন রুশ কূটনীতিক কমসোমস্কোয়া প্রাভদা গনমাধ্যমে বলেছেন, নতুন নেতৃত্বের দেশ চালাতে হবে। তাই তাদের বাইরে কিছু দেশের সহযোগিতা লাগবে, বিনিয়োগ লাগবে। বিশেষ করে খাদ্য সংকটের সুরাহা করতে হবে। আর মস্কোকেও কিছু সমস্যার মোকাবিলা করতে হবে। বিশেষ করে শান্ত রাখতে সাহায্য করতে হবে, আফগানিস্তানের সঙ্গে তাজিকস্তান এবং উজবেকিস্তানের সীমান্তের পরিস্থিতি।