জ্যাকুলিনকে ফাঁসাতে যেভাবে ছক আঁকেন সুকেশ
নাফিজা আক্তার
তখনও বলিউডে প্রথম সারির নায়িকা হয়ে ওঠা হয়নি জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজের। তাই সহজেই ধরা পড়েন পাকা বাটপার সুকেশ চন্দ্রশেখরের। জানা যায়, জ্যাকলিন ফার্নান্দেজকে ফাঁদে ফেলার সব চেষ্টাই করেছিলেন প্রতারক সুকেশ চন্দ্রশেখর। এই সুকেশের কাছ থেকেই দামি উপহার নিয়ে ফেঁসেছেন জ্যাকুলিন।
এছাড়াও জ্যাকুলিনকে আরও বড় ফাঁদে ফেলার চেষ্টা ছিল সুকেশের। প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন- ৫০০ কোটি টাকা বাজেটের সিনেমা তৈরির, যেখানে জ্যাকুলিন পাবেন সুপারহিরোর চরিত্র। অর্থাৎ ভারতের প্রথম সুপার হিরোইন হওয়ার ফাঁদ ছিল জ্যাকুলিনের সামনে।
এছাড়াও জ্যাকুলিনের মন জিততে, তাকে অ্যাঞ্জেলিনা জোলির সঙ্গে তুলনা করেছিলেন সুকেশ। বলেছিলেন, তোমাকে ঠিক অ্যাঞ্জেলিনার মতো লাগে দেখতে। তাই তোমাকে সুপারহিরো মানাবে।
মূলত সুকেশ জ্যাকলিনকে টোপটা দেয় একাধিক ছবি প্রযোজনার। জ্যাকলিনকে সুকেশ বলেছিলেন, এ সিনেমায় ব্যবহার করা হবে হলিউডের ভিএফএক্স শিল্পীদের। নিজের প্রতিশ্রুতিকে বিশ্বাসযোগ্য করতে বেশ কয়েকজন প্রথম সারির প্রযোজকের নামও নিয়েছিলেন এই প্রতারক।
সুকেশের এসব কথা পুরোপুরি বিশ্বাস না করলেও একেবারে উড়িয়ে দেননি জ্যাকুলিন। কেননা তখনও বড় তারকা হয়ে ওঠেনি এই অভিনেত্রী। জ্যাকুলিন যে বড় কাজ খুঁজছিলেন তা আগেই জানতেন সুকেশ। এ নিয়ে কথা-বার্তাতেই সুকেশ বলেছিলেন, হলিউডের ভিএফএক্স কলাকুশলীদের নিয়ে আন্তর্জাতিক মানের ছবি তৈরি করবেন।
বর্তমানে সুকেশ চন্দ্রশেখর নামটি নিয়ে তোলপাড় বলিপাড়া। ভারতের গোয়েন্দারা বলছেন এই ব্যক্তি একজন জাত প্রতারক। প্রতারণা মামলার আসামি সুকেশ চন্দ্রশেখরের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ইডি। সেখানে যে তথ্য উঠে এসেছে তাতে দেখা যাচ্ছে, জ্যাকুলিনকে প্রায় ১০ কোটি টাকার উপহার দেন সুকেশ। এর মধ্যে রয়েছে ৫২ লাখ টাকার একটি ঘোড়া এবং ৯ লাখ টাকার একটি পার্সিয়ান বিড়াল।
ইডিকে দেয়া জ্যাকুলিন তার লিখিত বক্তব্যে জানান, ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তার সঙ্গে আলাপ হয় সুকেশের। সে সময় তিনি নিজেকে সান টিভির মালিক হিসেবে দাবি করেন। তারপর ২০২১ সালের অগস্ট মাসে সুকেশ গ্রেপ্তার হওয়ার পর জ্যাকুলিন আর সম্পর্ক রাখেননি।
জ্যাকুলিন ছাড়াও অভিনেত্রী নোরা ফাতেহির নামও উল্লেখ রয়েছে চার্জশিটে। নোরাকে একটি দামি গাড়ি উপহার দেয় সুকেশ। জেলে থাকা অবস্থাতেই জ্যাকুলিনের সঙ্গে ফোনে তিনি কথা বলতেন-এমনটা উঠে এসেছে তদন্তে।