চিত্রনায়িকা শিমুকাণ্ডে দায়ী কে?
নাফিজা আক্তার
রোববার সকাল থেকেই হঠাৎ নিরুদ্দেশ হয়ে যান চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমু। দুইদিন পর সোমবার কেরানীগঞ্জ ব্রীজের কাছে পাওয়া যায় তাঁর দেহ। বস্তাবন্দি করে ব্রিজের নিচে কে বা কারা ফেলে যায় শিমুকে।
প্রথমে অজ্ঞাত থাকলেও পরে হাতের আঙুলের ছাপ ও পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমে তার পরিচয় নিশ্চিত করা হয়। সোমবার রাতে গণমাধ্যমকে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সালাম মিয়া।
রাজধানীর গ্রিনরোডে স্বামী ও দুই সন্তান নিয়ে বসবাস করতেন শিশু। কলাবাগান থানার পুলিশ বলছে, শিমুর নিখোজের রোববার অভিনেত্রী শিমুর পরিবার একটি নিখোঁজ সাধারণ ডায়েরি করেছিল।
১৯৯৮ সালে কাজী হায়াত পরিচালিত ‘বর্তমান’ সিনেমা দিয়ে রুপালি পর্দায় অভিষেক হয় শিমুর। ২০০৪ সাল পর্যন্ত একনাগাড়ে ২০টিরও বেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। চলচ্চিত্র ও নাটকের ক্যারিয়ারে দুই দশকেরও বেশি সময় পার করেছেন শিমু। ৫০টিরও বেশি নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি। সম্প্রতি ফ্যামিলি ক্রাইসিস নামে একটি ধারাবাহিক নাটকে কাজ করেছেন তিনি।
দেশের অনেক গুনী পরিচালকের সঙ্গে কাজ করেছেন এই অভিনেত্রী। তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন, চাষী নজরুল ইসলাম, দেলোয়ার জাহান ঝন্টু, এ জে রানা, শরিফুদ্দিন খান দ্বীপু, এনায়েত করিম, শবনম পারভীন। অভিনয়ের পাশাপাশি প্রযোজক হিসবেও কাজ করেছেন শিমু।
অভিনয়ের পাশাপাশি শিল্পীদের অধিকার আদায়ের সংগ্রামেও সোচ্চার ছিলেন শিমু। শিল্পী সমিতি থেকে ভোটাধিকার হারানো ১৮৪ জনের মধ্যে শিল্পী শিমুও ছিলেন। ভোটাধিকার ফিরে পেতে আন্দোলন করতেও দেখা গেছে তাকে।
এদিকে শিমুর দেহ উদ্ধারের পর সহশিল্পীদের অনেকে নায়ক জায়েদ খানের দিকে আঙুল তুলেছেন। তাদের দাবি, শিমু জায়েদের প্রতিহিংসার শিকার। যদিও এখন পর্যন্ত এই তথ্যের কোনো সত্যতা পাওয়া য়নি।
অন্যদিকে, শিমুর ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেছেন জায়েদ খান। তিনি বলেন, ‘শিমুর ভাই সোমবার রাতে আমাকে ফোন করেছিলেন। বিষয়টি আমাকে জানান। শিমু চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সহযোগী সদস্য। দীর্ঘ সময় তাকে সিনেমার অভিনয়ে দেখা যায়নি। আমি চাই শিমুকাণ্ডের সুষ্ঠ তদন্ত হোক।