গাজায় বিদ্যুৎ-পানি দিতে যে শর্ত দিলো ইসরাইল
সাদাকালো নিউজ
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের হাতে জিম্মিদের মুক্ত করে আনতে এবার নতুন শর্ত দিয়েছে ইসরাইল। জিম্মিদের মুক্তি না দিলে গাজায় বিদ্যুৎ, পানি এবং জ্বালানি সরবরাহ করা হবে না বলে জানিয়েছেন ইসরাইলের জ্বালানিমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
হামাসের হামলার জবাবে গত সোমবার (৯ অক্টোবর) গাজা উপত্যকায় ‘সর্বাত্মক অবরোধ’ ঘোষণা করে ইসরাইল। সেসময় ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইওয়াভ গ্যালান্ত বলেছেন, ‘গাজা উপত্যকায় বিদ্যুৎ, পানি, খাবার এবং জ্বালানি সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ থাকবে।’
বুধবার (১১ অক্টোবর) জ্বালানির অভাবে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার একমাত্র বিদ্যুৎকেন্দ্রটিও বন্ধ হয়ে গেছে। এর ফলে পুরো উপত্যকা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। ইসরাইলের জ্বালানিমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ বলেন, ইসরাইলি জিম্মিদের মুক্তি না দেয়া পর্যন্ত গাজা সর্বাত্মক অবরোধ শেষ হবে না।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, জিম্মিদের মুক্তি না দেয়ার পর্যন্ত কোনো ‘বৈদ্যুতিক সুইচ চালু করা হবে না, কোনো পানির হাইড্র্যান্ট খোলা হবে না এবং কোনো জ্বালানির ট্রাক প্রবেশ করবে না।
এদিকে জাতিসংঘ জানিয়েছে, ইসরাইলের টানা বোমা হামলায় গাজার ৬ লাখ ৫০ হাজার বাসিন্দা তীব্র পানির সংকটে রয়েছে।
আল আকসা মসজিদে হামলা এবং অবৈধ বসতি স্থাপনের জবাব দিতে শনিবার (৭ অক্টোবর) ভোরে ইসরাইলের বিভিন্ন এলাকায় রকেট হামলা শুরু করে হামাস। পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরাইলি বাহিনীও। যার মধ্যদিয়ে শুরু হয়েছে রক্তক্ষয়ী সংঘাতের। গত ছয়দিনের এই সংঘাতে উভয়পক্ষের ২ হাজার ৩০০ এর বেশি মানুষের প্রাণহানি হয়েছে।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ইসরাইলের শতাধিক সেনা ও বেসামরিক নাগরিককে জিম্মি করেছে ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। এর আগে হামাসের একজন শীর্ষ নেতা জানিয়েছেন, তাদের জিম্মায় থাকা ইসরাইলি সেনাদের মুক্তি চাইলে আগে ইসরাইলে কারাবন্দী ফিলিস্তিনিদের ছাড়তে হবে।