‘কারাগারগুলোতে বন্দিদের ৬০ শতাংশই মাদক মামলার’
সাদাকালো নিউজ
মাদকের মামলা বিচারের ক্ষেত্রে সাক্ষী পাওয়া যায় না বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। বলেন, ‘কারাগারগুলোতে বন্দিদের ৬০ শতাংশই মাদক মামলার। বিচারের সময় সাক্ষী পাওয়া যায় না। লম্বা জট লেগেছে মামলার।’
আর এ কারণে মাদক মামলা হারিয়ে যায় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘মাদক মামলার বিচারে আমরা চেয়েছিলাম বিশেষ ট্রাইব্যুনাল । আমরা সেটা এখনো পাইনি। যদি শাস্তিটা দৃশ্যমান হতো তাহলে মাদকের ডিমান্ড হ্রাস ও সাপ্লাই কমে যেত।’
সোমবার দুপুরে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘মাদকাসক্তি নিরাময়ে বেসরকারি খাতের ভূমিকা’ শীর্ষক গোলটেবিল সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী একথা বলেন।
দেশের কারাগারগুলোতে বন্দি ধারণক্ষমতা ৪১ হাজারের কিছু বেশি উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তবে কিছুদিনের মধ্যে এটা আরও বাড়বে। কিন্তু সবসময় থাকেই ৮০ থেকে লাখের বেশি। এর মধ্যে ৬০ শতাংশই মাদক ব্যবসায়ী।’
‘মাদক সরবরাহে সমাজের কতিপয় পেশাজীবীও জড়িত হয়ে পড়ছে। এর মধ্যে আছেন সাংবাদিক, পুলিশ ও বিত্তবানরা। আমরা সবাইকে আইনের আওতায় আনছি। কেউ বাদ যাচ্ছে না।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘জেলখানায় গিয়ে দেখুন, মাদকের মামলায় পুলিশের সদস্য যেমন আছে, র্যাবের সদস্যও আছে। আবার তেমনি অন্য ব্যবসায়ীরাও রয়েছেন। পুলিশ হলে তাদের আইন আলাদা হবে, বিষয়টি এমন নয়।’
ডোপ টেস্টের প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘পুলিশে যারা মাদক নেয় তদেরকে ডোপ টেস্ট করা হচ্ছে। ডোপ টেস্টে পজিটিভ হলে তাকে সাসপেন্ড করা হচ্ছে। এই জায়গাটাতে আমরা খুব কঠিন অবস্থানে চলে আসছি।’
‘চাকরির শুরুতে যারা সিলেক্টেড হবে তাদেরকে ডোপ টেস্ট করার প্রচলন পুরোপুরি নিতে যাচ্ছি। পুলিশ-বিজিবি সব জায়গায় ডোপ টেস্টের প্রচলন রয়েছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মাদকাসক্ত হচ্ছে কি না প্রয়োজনে আমরা ডোপ টেস্ট করব।’
চিকিৎসকরা সবচেয়ে বেশি মাদক গ্রহণ করেন—এমন কথা শুনেছেন জানিয়ে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘তবে বিষয়টি আমার জানা নেই। চিকিৎসকরা মাদক নেয়, সাংবাদিক-ইঞ্জিনিয়ারও নিয়ে থাকে। চিকিৎসকরা মাদক নেবে না এমনতো কথা নেই। তারা তো আলাদা জাতি না। তবে দুয়েকজন পথভ্রষ্ট হতে পারেন।’