অবসর ভেঙে বাইশ গজে ফিরেছিলেন যারা
সাদাকালো নিউজ
অবসর ঘোষণার মাত্র ১ দিন পরেই ক্রিকেটে ফিরে আসার ঘোষণা দিলেন বাংলাদশ ওয়ানডে দলের অধিনায়ক তামিম ইকবাল খান। তবে এমন নজির কেবল তামিমের না। তামিমের আগেও এমন বহু ক্রিকেটারই অভিমান নিয়ে অবসরে গিয়েছেন। পরে সেখান থেকে ফিরেও এসেছেন। অবসর থেকে ফিরে বিশ্বকাপ জেতার নজিরও গড়েছেন পাকিস্তানের ইমরান খান।
ইমরান খান: অবসর থেকে ফিরে এসে নিজের আগের ফর্ম ধরে রেখেছেন এমন খেলোয়াড় খুব কমই আছেন। যে কজন পেরেছেন, তাদের একজন ইমরান খান। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের হয়ে অভিষেক হয় ইমরানের। ১৬ বছরের ক্যারিয়ার শেষে ১৯৮৭ সালে অবসরে যান তিনি।
কয়েকমাসের মধ্যেই অবশ্য দেশটির তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জিয়াউল হকের অনুরোধে ফিরে এসেছিলেন তিনি। আর শেষ পর্যন্ত ১৯৯২ সালে পাকিস্তানকে বিশ্বকাপ জিতিয়ে পুরোপুরি অবসরে যান ইমরান খান।
জাভেদ মিয়াদাঁদ: ১৯৯২ সালেই বিশ্বকাপ জেতা আরেক পাকিস্তানি খেলোয়াড় জাভেদ মিয়াদাঁদেরও আছে অবসর ভেঙে ফিরে আসার কীর্তি। ১৯৯৬ সালে নিজ দেশে বিশ্বকাপের আগেই অবসরের ঘোষণা দেন তিনি। এরপরই তাকে আবার মাঠে ফেরার অনুরোধ জানান পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো। সেই অনুরোধ ফেলতে পারেননি পাকিস্তান ক্রিকেটের বড়মিয়া খ্যাত জাভেদ মিয়াদাঁদ।
কার্ল হুপার: তামিমের মতো করেই বিশ্বকাপের আগে অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটার কার্ল হুপার। নিজের সেরা সময়ে থাকার পরেও বিশ্বকাপের আগে দল থেকে সরে গিয়েছিলেন এই ক্রিকেটার। দুই বছর পর আবারও ফিরে এসেছিলেন। ২০০৩ সালে ক্যারিবিয়ানদের বিশ্বকাপে নেতৃত্বও দিয়েছিলেন এই হুপার।
গ্রান্ট ফ্লাওয়ার: জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যে কজন উজ্জ্বলভাবে মেলে ধরেছিলেন, তাদের একজন ছিলেন গ্রান্ট ফ্লাওয়ার। ২০০৪ সালে দলের অধিনায়কের পদ থেকে হিথ স্ট্রিককে সরিয়ে দেয়া হলে আরও অনেকের মতোই অবসর নিয়েছিলেন তিনি।
সেবার মোট ১৩ জন জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটার অবসর নেন। এদের মাঝে দীর্ঘ ছয় বছর পর ২০১০ সালে ফিরে আসেন গ্রান্ট ফ্লাওয়ার। যদিওবা ফিরে আসার পর প্রত্যাশা অনুযায়ী পারফর্ম করা হয়নি তার। বাধ্য হয়ে সেবছরই নিজেকে গুটিয়ে নেন তিনি।
কেভিন পিটারসেন: টেস্টে মনোযোগ দেয়ার কথা বলে ২০১১ সালে সীমিত ওভারের ক্রিকেট থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন কেভিন পিটারসেন। কয়েকমাস পরেই আবার ফিরেছিলেন সব ফরম্যাটে। যদিও পরবর্তীতে ক্রিকেট বোর্ডের সাথেই ঝামেলায় জড়ান তিনি। এরপর ক্রিকেট থেকে সরে গেলেও, অবসরের ঘোষণা আর দেননি একসময়ের ড্যাশিং এই ব্যাটসম্যান।
শহীদ আফ্রিদি: নিজের শেষ ১১ বছরে ৫ বার অবসর নিয়েছিলেন পাকিস্তানের হার্ডহিটার ব্যাটার শহীদ আফ্রিদি। ২০০৬ সালে প্রথম টেস্ট থেকে অবসরে যান তিনি। সপ্তাহ দুয়েক পরেই সেই সিদ্ধান্ত থেকে ফিরে আসেন তিনি। ২০১০ সালে এই ফরম্যাটকে পুরোপুরি বিদায় জানান তিনি।
কোচের সাথে দ্বন্দের জেরে ২০১১ সালে একবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানান তিনি। এরপর ফিরে এসে ২০১২ সালে আরও একবার অবসরের ঘোষণা দেন তিনি। অংশ নিয়েছেন ২০১৫ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপেও। সেবারেও কোয়ার্টার ফাইনালে বিদায়ের পর অবসরের ঘোষণা দেন আফ্রিদি। সবশেষ ২০১৭ সালে চূড়ান্ত অবসরে যান তিনি।